শনিবার, ২০ জুলাই, ২০১৩

ক্লাস থেকে বের হতেই বৃষ্টি ডাক দিল,

- ওই, তোর খাতাটা দে তো।
- কেন?
- আরে নোট করব।
- বাপরে কি পড়ালেখা!
- টিটকারী মারবী না। পড়ালেখা না করলে বিয়ে দিয়ে দিবে বলেছে।
- চিন্তা নাই। তোর পাত্রের অভাব হবে না।
- আহা, সবাই তো লাইন ধরেছে।
- আচ্ছা যা, আর কারো গলায় ঝুলতে না পারলেও এই হতভাগা থাকবে।
- থাপ্পড় খাবি? ভাগ
- এত সুন্দর অফার দিলাম শুনলি না। নে, তুই খাতাটাই নে।
- তোর অফার কে.জি দরে বিক্রি করিস। তাও কেউ নিবে কিনা সন্দেহ
- তোরে কইছে। এই দেখ, আমার বইয়ে কে যেন এই লেটার দিইছে
- দেখি তো
- নাম নেই।
- তাহলে তো লাভ লেটার। ব্যাপার-স্যাপার কেমন যেন লাগছে।
-আরে এখনো পড়িনি।
- দে তো ‍পড়ি
- কাউকে বলবি না।
- বলব না মানে! অবশ্যই বলব। দে

হাত থেকে বৃষ্টি চিঠিটা কেড়ে নিল।

প্রিয়,
একই ইয়ারে পড়ি। তাই তুই করেই বলছি। কিছু মনে করিস না।
অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম চিঠিটা লিখব। কিন্তু কিভাবে লিখব বুঝতে পারছিলাম না। যাই হোক, কাল সারারাত ধরে লিখলাম। মনোযোগ দিয়ে পত্রটা পড়িস।
বলব না রাতের তারা,
বলব শুধু একটু দাঁড়া।
একটা কথা বলার আছে,
বলব শুধুই তোর কাছে।
রাতের সব জোৎসনা সাক্ষী,
তাই, তুই পুরাই পাগলি ছাগলি।

- এইটা কি হল?
- যা হল তাই। তুই হইলি ছাগলি। হাহাহাহা। যা এখন সবাইরে গিয়ে বল
- হাসি, তাই না? দাঁড়া তোরে দেখাচ্ছি মজা।

বৃষ্টি ধরার আগেই দৌড় লাগালাম। ধরতে পারলে পিঠ আর আজকে থাকবে না। সাথে মান-ইজ্জতও শেষ হবে। কারণ, পিঠে কিল খাওয়ার পর কান ধরতে হবে। তারপর ছেড়ে দিবে। তাই আপাতত নিরাপদ জায়গার খোঁজে দৌড় লাগালাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

srabon204