রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৩


Photo

ফোনটা ভাইব্রেট করেই চলেছে । স্ক্রিনের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি । হাত কাঁপছে । এত দিন,এতবছর পর আবার সেই নাম্বার থেকে ফোন এসেছে বিশ্বাস হচ্ছে না । আজও নাম্বারটা দেখে হৃদস্পন্দন কয়েকগুণ বেড়ে যায় । মনের মাঝে প্রবল ঝড় বয়ে যায় । শেষপর্যন্ত রিসিভ করে ফেল্লাম । ওপাশ থেকে ভেসে এল সেই পরিচিত কন্ঠস্বর । এতবছর পরও একটুও বদলায়নি । সেই আগের মতই আছে ....
:হ্যালো ........
..............................

কি হল? কিছু বলছ না যে?
:না আসলে পাঁচ বছর পর এই নাম্বার থেকে ফোন আশা করিনি । তাই বুঝতে পারছিনা যে কি বলব ।
:কয়েকদিন থেকেই তোমার কথা খুব মনে পড়ছিল । কিন্তু ফোন করার ঠিক সাহস পাচ্ছিলাম না । কাল থেকে তোমার কন্ঠ শোনার খুব ইচ্ছে করছিল । তাই আজ সাহস করে ফোনটা দিয়েই দিলাম । কেমন আছ তুমি ?
:মানুষ বদলে যায় কিন্তু তাদের কন্ঠ বদলায়না । হুম আছি নিজের মত করে । নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত আছি ।
:জিঞ্জেস করবেনা আমি কেমন আছি ?
:উহু,প্রয়োজন নেই । কিছু কিছু মানুষ আছে যারা সবসময় ভাল থাকে । তুমি হচ্ছ তাদের একজন ।
:(ওপাশে কিছুক্ষণ নীরবতা .......) আমার কথা মনে পড়েনি তোমার ?
:হ্যা পড়েছে । অনেক মনে পড়েছে । যথন দিনের পর দিন না খেয়ে থাকতাম তখন মনে পড়ত "তুমি ঠিকমত খাচ্ছ তো?" যখন রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে,কেঁদে কেঁদে অসুস্থ হয়ে পড়তাম তখন মনে পড়ত "তুমি সুস্থ আছ তো?" যখন কোন আনন্দোত্‍সবে সবাই হইচই আর আনন্দে মেতে উঠত আর আমি ঘরের দরজা বন্ধ করে অন্ধকারে বসে থাকতাম তখন মনে পড়ত "তুমি সবারসাথে খুশি আর আনন্দে মেতে উঠছ তো?" যখন আয়নায় নিজের অযত্ন অবহেলায় শুকিয়ে যাওয়া চেহারাটার দিকে তাকাতাম তখন মনে পড়ত "তুমি নিশ্চই আরো সুন্দর হয়ে গেছ ।" একসময় অনেক মনে পড়েছে । এখন আর পড়ে না । এখন এত সময় কই এগুলো মনে পড়ার?
:(ওপাশে আবার নিরবতা ......) আমাকে কি ক্ষমা করা যায় না?
:ক্ষমা তো আমি তোমাকে পাঁচ বছর আগেই করে দিয়েছিলাম । তোমায় ক্ষমা না করলে আমার মনে তোমার দেয়া কষ্টগুলোর ক্ষত কোনভাবেই শুকাত না । আচ্ছা এখন তাহলে রাখি । এখন আমার আকাশ দেখার সময় । প্রতিদিন রাতে এইসময় আমি আকাশ দেখি । আকাশের সাথে কথা বলি । আকাশ কখনো আমার সাথে ছলনা করেনা । প্রতিরাতে সে তারার ঝুলি নিয়ে আমার সামনে হাজির হয় । আমি কথা বলি সে চুপচাপ শোনে । একটুও বিরক্ত হয়না ।
:......একরাত আকাশের সাথে কথা না বল্লে হয় না?আমাদের কথা থেকে আকাশের কথা কি খুব বেশি জরুরী?
:আপাতত তাই । আমার চরম অসহায়ত্ব আর একাকিত্বের সময় এই আকাশ আমায় সঙ্গ দিয়েছে । যে পাঁচ বছর আমায় দূরে সরিয়ে রেখেছিল তার জন্য আমি আমার পাঁচ বছরের পাশে থাকা সঙ্গীকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারবনা ।
আচ্ছা আমি এখন যাব । রাতের আকাশ আমার জন্য অপেক্ষা করছে । আজ খুব সুন্দর একটা চাঁদও উঠেছে আকাশে । আজ চাঁদের সাথেও কথা বলব ......

ফোনটা কেটে দিলাম । বারান্দায় এসে দাড়ালাম । আকাশের বুকে গোল একটা চাঁদ উঠেছে । তাকিয়ে আছি । খুব কষ্ট হচ্ছে । সেই পাঁচবছর আগের মত কষ্ট যখন তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলে । কি দোষ ছিল আমার?কেন চলে গিয়েছিলে?আজ ও তা আমি জানিনা । তারপরও অটুট বিশ্বাস,আশা ধরে রেখেছিলাম একদিন তুমি আসবে । আমি অপেক্ষা করব । করেছি,অনেক অপেক্ষা করেছি । ভেবেছিলাম যেদিন তোমার ফোন আসবে খুশিতে চিত্কার দেব । তোমার পানে ছুটে চলে যাব । দিন যায়,মাস যায়,বছর যায় কিন্তু তুমি আসনা । ভার্সিটি পাশ করার দু বছর হয়ে গেল । বাবা আমার আমাকে অনেক ভালবাসে । সেই বাবাকে পর্যন্ত বলে দিলাম বিয়ে করবনা । বাবার দীর্ঘঃশ্বাস,দুঃখভরাক্রান্ত মন সবই উপেক্ষা করতাম । ঠিক পাঁচমাস আগে বাবা অনেক অসুস্থ হয়ে গেল । ডাক্তার বল্লেন মাইনর এট্যাক । এই বয়সে এত টেনশন ওনার সাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর । বাবার অসুস্থতার জন্য কোন না কোন ভাবে আমি দায়ী । কারণ বাবার সব টেনশন ছিল আমাকে নিয়ে । সারাদিন বাবার হাত ধরে বসে থাকতাম । বেশ কয়েকদিন পর বাবা একটু সুস্থ হয়ে উঠলেন । আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বল্লেন,"মা,আমার জীবনের মনে হয় আর খুব বেশি দিন বাকি নেই । আমি সবসময় থেকে তোমাকে সুখী রাখতে চেয়েছি । মৃত্যুর আগেও আমি তোমাকে সুখী দেখে যেতে চাই । এটাই এখন আমার শেষ ইচ্ছা । একজন বাবা হিসেবে এর বেশি আর কিইবা চাওয়ার থাকতে পারে?মা,তুমি একবার ভেবে দেখ । ছেলেটা অনেক ভাল । তোমাকে অনেক সুখে রাখবে আমার বিশ্বাস । কোন তাড়াহুড়ো নেই । ছেলেটার সাথে দেখা কর । তাকে বুঝার,চেনার চেষ্টা কর । তোমার পছন্দ না হলে কোন অসুবিধা নেই । শুধু তার সাথে দেখা করে,কথা বলে দেখ ।" না,পারলামনা আর বাবার কথা অমান্য করতে । তার আকুতি ভরা দৃষ্টি উপেক্ষা করতে । বাবার পছন্দের ছেলেটার সাথে প্রথম দেখা করলাম দেড় মাস আগে । ইঞ্জিনিয়ার । কিন্তু দেখে বোঝার উপায় নেই । খুব সাধাসিধে ছা পোষা ধরণের মানুষ । কথার মারপ্যাঁচ ধরতে পারেন না । লোকটার মা নেই । ওনার মনে অনেক কষ্ট । একদিন ভয়ে ভয়ে বল্লেন,"একটা কথা বলি?আপনার মাঝে কোথায় যেন আমার মায়ের ছায়া আছে । মাকে চোখের সামনে দেখতে পাই নি কিন্তু অনুভব করেছি । সরি আপনি রাগ করলেন না তো আমার কথায়?" বলে লোকটা চোখের পানি লুকোতে চেষ্টা করত । ব্যর্থ চেষ্টা । বাবাকে অনেক সম্মান করেন । প্রায় প্রতিদিন সময় করে বাবাকে দেখতে আসেন । ওষুধ ঠিকমত খাচ্ছেন কিনা,নিজের শরীরের যত্ন নিচ্ছেন কিনা আরো কত কি । একদিন বাবার সাথে দেখা করতে এসে আমাকে বেশ লাজুক স্বরে বল্লেন,"ইয়ে মানে আপনার জন্য একটা জিনিষ এনেছিলাম । আমি নিজে রান্না করেছি । অনেক আগে থেকেই রান্না করতে করতে এখন মোটামুটি ভালো রান্না করতে পারি । বিয়ের পর আপনার কোন সমস্যা হবে না .......ওহ সরি আই মিন যদি বিয়ে হয় । কই মাছের পাতুরি রান্না করেছি । অনেক কষ্ট এটা রান্না করা । আশা করি আপনার ভালো লাগবে ।"

"আমি কই মাছ খাইনা" বেশ নির্লিপ্ত সুরে বললাম । উনি আহত স্বরে বল্লেন "ওহ সরি সরি । আমারি ভুল হয়ে গেছে । আমার আসলে আপনাকে জিঞ্জেস করা উচিত ছিল আপনার কি খেতে ভাল লাগে ।"
বড্ড দেরি করে ফেলেছ তুমি । গতকাল বাবাকে বলে দিয়েছি যে বিয়েতে আমি রাজি । বাবার চোখে যে খুশি আমি দেখেছি সেটা আজ তোমার কাছে ফিরে গিয়ে নষ্ট করে দিতে পারতাম । হ্যা পারতাম বাবাকে যেয়ে বলতে যে এই বিয়ে আমি করবনা । পারতাম বাবাকে সেই লোকটার সামনে ছোট করে দিতে । কিন্তু না,পারলাম না আমার বাবার মনে কষ্ট দিতে । পারলামনা তাকে ছোট করতে । তুমি যখন আমাকে কুকুর-বিড়ালের চাইতেও বেশি অবহেলা করতে তখন এই মানুষটা আমাকে রাজকুমারীর মত রাখত । আমার খেয়াল রাখত । বল আজ কিভাবে পারি তোমার জন্য তাকে কষ্ট দিতে?পারতাম তোমার ভালবাসাকে বুকে জড়িয়ে সেই সাধাসিধে লোকটাকে বলে দিতে যে,"সরি আপনাকে বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব না ।" পারতাম সেই মা হারা একাকী লোকটার স্বপ্ন ভেঙে দিতে । হ্যা বলার পর থেকে লোকটা এক ঘন্টা পরপর ফোন দিয়ে জিঞ্জেস করছে,"ইয়ে মানে বিয়ের শাড়ী আপনি কবে কিনতে যাবেন?আপনাকে নিয়ে যাব । আমি আবার এগুলো একদম বুঝি না । আমি কিনলে সিওর আপনার পছন্দ হবে না ।"

"না মানে আবার ফোন করলাম জানার জন্য যে আপনার আগের কালের ডিজাইনের গহনা পছন্দ কিনা । আসলে আমার মার দুটো বালা আমি আপনাকে দিতে চাচ্ছিলাম । অনেক পুরোনো ডিজাইন । আজকালকার মেয়ে আপনি । তাই ভাবলাম একবার জিঞ্জেস করে নেই যে আপনার পছন্দ হবে কিনা ...।" পারতাম লোকটার এত আকাঙ্খা আর উচ্ছ্বাস ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিতে । কিন্তু না,পারলামনা এত স্বার্থপর হতে । তুমি তো অনেক স্বার্থপর হতে পেরেছিলে,তাই তো আমার এত কষ্ট আর ভালবাসাকে উপেক্ষা করে চলে গিয়েছিলে শুধু একটু মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করতে । কিন্তু আমি পারিনা,পারবনা এত স্বার্থপর হতে । পারবনা নিজের ভালবাসার জন্য এই দুইজন মানুষের ভালবাসা আর স্বপ্নকে ধুলিস্যাত্‍ করতে । হয়তো আজ তুমি ভাবছ আমি প্রতিশোধ নিয়েছি । তাই সই । তোমার চোখে অপরাধী হয়ে আমি যদি এইদুইজন মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারি তাহলে তাই সই । যদি তুমি আরেকটু আগে আসতে তাহলে তোমার ভালবাসাকে আপন করে নিতাম,যা এখন আর সম্ভব নয় । অনেক দেরি হয়ে গেছে । এখন আর নিজের ভালবাসা নয়,তাদের ভালবাসার প্রতিদান দেবার পালা যারা আমাকে তোমার চেয়ে অনেক বেশী ভালবাসে ।

আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি । চোখদুটো ঝাপসা হয়ে আসছে । দু ফোটা পানি গড়িয়ে পড়ল চোখ দিয়ে । মনে মনে বল্লাম,
"ভালবাসা,তোমায় দিলাম ছুটি"

যুক্তিবিদ্যার ক্লাস চলছে
শিক্ষকঃ আমি টেবিলটা ছুয়েছি,
টেবিলটা মাটি ছুঁয়েছে,
সুতরাং আমি মাটি ছুঁয়েছি ।
এভাবে একটা যুক্তি দেখাও তো ।
(দুজন ছাত্র হাত তুলল)
১ম ছাত্রঃ যেমন ধরুন স্যার,
আপনি মুরগি খেয়েছেন, মুরগি কেঁচো খেয়েছে,
সুতরাং আপনি কেঁচো খেয়েছেন।
২য় ছাত্রঃ আমি আপনাকে ভালবাসি,
আপনি আপনার মেয়েকে ভালবাসেন,
সুতরাং আমি আপনার মেয়েকে ভালবাসি। 
Photo: যুক্তিবিদ্যার ক্লাস চলছে ­­
শিক্ষকঃ আমি টেবিলটা ছুয়েছি,
টেবিলটা মাটি ছুঁয়েছে,
সুতরাং আমি মাটি ছুঁয়েছি ।
এভাবে একটা যুক্তি দেখাও তো ।
(দুজন ছাত্র হাত তুলল)
১ম ছাত্রঃ যেমন ধরুন স্যার,
আপনি মুরগি খেয়েছেন, মুরগি কেঁচো খেয়েছে,
সুতরাং আপনি কেঁচো খেয়েছেন।
২য় ছাত্রঃ আমি আপনাকে ভালবাসি,
আপনি আপনার মেয়েকে ভালবাসেন,
সুতরাং আমি আপনার মেয়েকে ভালবাসি। 
-Debrota
2


হাইরে জীবন
কষ্টের ছবি
ছাতকে এক রশিতে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা!!

ছাতক প্রতিনিধিঃছাতকে প্রেমিক যুগল এক রশিতে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল রোববার ভোরে উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের টেটিয়ারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এক রশিতে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যার ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের পুত্র আব্দুল্লাহ (২৫) ও আফরুজ আলীর কন্যা কুলছুমা বেগম (১৯) তালতো ভাই-বোন। এ সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের প্রেমের সম্পর্কটি উভয় পরিবার মেনে না নিয়ে প্রায় দু’সপ্তাহ আগে আব্দুল্লাহর সাথে কালিয়ারচর গ্রামের তার চাচাতো বোনের ও কুলছুমাকে ছাতক সদর ইউনিয়নের কাজিহাটা গ্রামে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ে হলেও কুলছুমা-আব্দুল্লাহ’র প্রেমে এতটুকু ভাটা পড়েনি। ১ রমজান কুলছুমাকে পিত্রালয়ে নিয়ে আসা হলে প্রেমিক-প্রেমিকার যোগাযোগ আগের মতই চলতে থাকে। উভয় পরিবারের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে কুলছুমা-আব্দুল্লাহ রচিত করে নতুন এক প্রেম কাহিনী। ঘটনার দিন সকালে ছাতক-জাউয়া সড়কের আজাদ মিয়ার পুকুর পাড়ের একটি রেন্টি গাছে এক রশিতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে প্রেমিক যুগল। ভোরে ঝুলন্ত লাশ দেখে পথচারীরা পুলিশে খবর দেয়। চাঞ্চল্যকর এ খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ সদর সার্কেল রুহুল কবির, ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজালাল মুন্সি ও জাউয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেন। এ ঘটনায় ছাতক থানায় ৩/১৪ ও ৪/১৪ দুটি পৃথক অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়। এ ব্যাপারে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজালাল মুন্সি জানান, প্রেমের সম্পর্ককে বিয়েতে পরিনত করতে না পারায় অভিমানে তারা আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
Photo: হাইরে জীবন
কষ্টের ছবি
ছাতকে এক রশিতে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা!!

ছাতক প্রতিনিধিঃছাতকে প্রেমিক যুগল এক রশিতে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল রোববার ভোরে উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নের টেটিয়ারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এক রশিতে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যার ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের পুত্র আব্দুল্লাহ (২৫) ও আফরুজ আলীর কন্যা কুলছুমা বেগম (১৯) তালতো ভাই-বোন। এ সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের প্রেমের সম্পর্কটি উভয় পরিবার মেনে না নিয়ে প্রায় দু’সপ্তাহ আগে আব্দুল্লাহর সাথে কালিয়ারচর গ্রামের তার চাচাতো বোনের ও কুলছুমাকে ছাতক সদর ইউনিয়নের কাজিহাটা গ্রামে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ে হলেও কুলছুমা-আব্দুল্লাহ’র প্রেমে এতটুকু ভাটা পড়েনি। ১ রমজান কুলছুমাকে পিত্রালয়ে নিয়ে আসা হলে প্রেমিক-প্রেমিকার যোগাযোগ আগের মতই চলতে থাকে। উভয় পরিবারের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে কুলছুমা-আব্দুল্লাহ রচিত করে নতুন এক প্রেম কাহিনী। ঘটনার দিন সকালে ছাতক-জাউয়া সড়কের আজাদ মিয়ার পুকুর পাড়ের একটি রেন্টি গাছে এক রশিতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে প্রেমিক যুগল। ভোরে ঝুলন্ত লাশ দেখে পথচারীরা পুলিশে খবর দেয়। চাঞ্চল্যকর এ খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ সদর সার্কেল রুহুল কবির, ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজালাল মুন্সি ও জাউয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেন। এ ঘটনায় ছাতক থানায় ৩/১৪ ও ৪/১৪ দুটি পৃথক অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়। এ ব্যাপারে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজালাল মুন্সি জানান, প্রেমের সম্পর্ককে বিয়েতে পরিনত করতে না পারায় অভিমানে তারা আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
-Debrota

তোমার উপর আমার কোন রাগ নেই,নেই
কোন
অভিমান।
ভালোবাসা মানে শুধু কাছে পাওয়া নয়,
নয়
সারাজীবন একের অপর হয়ে থাকা,
ভালোবাসা মানে ভালোবাসা মানুষটির
ভালো চাওয়া। আর তাই
তোমাকে হারিয়ে ও
তোমার ভালই চেয়েছি।
ভেবোনা তোমায় ভুলে গেছি,
ভেবোনা আমায়
স্বার্থপর।
আমি তোমাকে ভালোবেসেছি,
ভালোবাসি আর
সারাজীবন ভালোবাসবো।
তুমি আজো আমার হৃদয়ে আছো। তোমারসুখই
আমার
সুখ!!!
সুখী হও এই কামনাই করি বিধাতার
কাছে ।
Photo: তোমার উপর আমার কোন রাগ নেই,নেই
কোন
অভিমান।
ভালোবাসা মানে শুধু কাছে পাওয়া নয়,
নয়
সারাজীবন একের অপর হয়ে থাকা,
ভালোবাসা মানে ভালোবাসা মানুষটির
ভালো চাওয়া। আর তাই
তোমাকে হারিয়ে ও
তোমার ভালই চেয়েছি।
ভেবোনা তোমায় ভুলে গেছি,
ভেবোনা আমায়
স্বার্থপর।
আমি তোমাকে ভালোবেসেছি,
ভালোবাসি আর
সারাজীবন ভালোবাসবো।
তুমি আজো আমার হৃদয়ে আছো। তোমারসুখই
আমার
সুখ!!!
সুখী হও এই কামনাই করি বিধাতার
কাছে ।

যদি ভাল লাগে কষ্ট দিতে তো দেও
তাতেই আমার সুখ....♥♥♥
আমার চোখের পানি দেখে যদি তোমার কলিজা ঠাণ্ডা হয়
তো আমি সারা দিন কাঁদব...♥♥♥
তাও তুমি তোমার ঠোঁটে লেগে থাকা
সেই মিষ্টি হাসিটা কে যেতে দিও না.....♥♥♥

............................
Photo: যদি ভাল লাগে কষ্ট দিতে তো দেও
তাতেই আমার সুখ....♥♥♥
আমার চোখের পানি দেখে যদি তোমার কলিজা ঠাণ্ডা হয়
তো আমি সারা দিন কাঁদব...♥♥♥
তাও তুমি তোমার ঠোঁটে লেগে থাকা
সেই মিষ্টি হাসিটা কে যেতে দিও না.....♥♥♥

কখনোই কাউকে খুব বেশি বিশ্বাস করবেন না।।
খুব বেশি ভালোবাসবেন না।।
প্রিয়জনের কাছ থেকে খুব বেশি আশা ও করবেন না।।
কারণ আপনি যখন কাউকে খুব বেশি ভালোবাসবেন, বিশ্বাস করবেন, সে তখন আপনাকে এতোটাই কষ্ট
দিবে যা আপনি সহ্য করতে পারবেন
না।।
......................................................................

সারাদিন হয়তো তোমায়
ভুলে থাকতে পারি,
কিন্তু রাত যে কিছুতেই তোমায়
ভুলতে দেয় না ।
সারা দিনের ব্যস্ততা শেষে যখন
নিজেকে সময় দেই, তখনই তোমার কণ্ঠস্বর
শুনতে পাই ।
বাতাসের মাঝে তোমার স্পর্শ পাই,
মনে হয় আজো তুমি আমারই আছো ।
এখনও আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়
তুমি আমায় ছেড়ে চলে গেছো,
আর রেখে গেছো টুকরো টুকরো অনেক স্মৃতি ।
তুমি চলে গেছো সত্যি কিন্তু আমার মন
থেকে যেতে পারোনি ।
তুমি আছো, থাকবে চিরকাল আমারই মাঝে,
আমার ভালোবাসার ছায়া হয়ে ।
..........................................
Photo: সারাদিন হয়তো তোমায়
ভুলে থাকতে পারি,
কিন্তু রাত যে কিছুতেই তোমায়
ভুলতে দেয় না ।
সারা দিনের ব্যস্ততা শেষে যখন
নিজেকে সময় দেই, তখনই তোমার কণ্ঠস্বর
শুনতে পাই ।
বাতাসের মাঝে তোমার স্পর্শ পাই,
মনে হয় আজো তুমি আমারই আছো ।
এখনও আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়
তুমি আমায় ছেড়ে চলে গেছো,
আর রেখে গেছো টুকরো টুকরো অনেক স্মৃতি ।
তুমি চলে গেছো সত্যি কিন্তু আমার মন
থেকে যেতে পারোনি ।
তুমি আছো, থাকবে চিরকাল আমারই মাঝে,
আমার ভালোবাসার ছায়া হয়ে ।

Facebook..

গুরু ফেসবুক বানাইলা কি দিয়া...
দরজা জানালা কিছুই নাই
কেমনে বের হব জানতে চাই ?
গুরু ফেসবুক বানাইলা কি দিয়া !!
গুরু ফেসবুক বানাইলা কি দিয়া
চাপাবাজি ছাড়া কিছুই নাই
কেমনে সত্যে জানতে পাই ?
গুরু ফেসবুক বানাইলা কি দিয়া !!
গুরু ফেসবুক বানাইলা কি দিয়া
ছেলে কেমনে মেয়ে হয় ?
জানতে বড় ইচ্ছে হয় !!
গুরু ফেসবুক বানাইলা কি দিয়া !
হেই হেই হেই!

মানুষ সবসময় ভাবে যে জীবনের
সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হলো সেই
মানুষটিকে হারিয়ে ফেলা যাকে সে সবার
চেয়ে বেশি মূল্য দেয়। কিন্তু
প্রকৃতপক্ষে সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার
হলো অন্য কাউকে সবচেয়ে বেশি মূল্য
দিতে গিয়ে নিজের কাছে নিজেকেই
হারিয়ে ফেলা এবং ভুলে যাওয়া যে আপনি নিজে
অসাধারন♥

এক গুচ্ছ গোলাপ হাতে ধরিয়া ছেলেটা বলল:
ছেলে: আমি তোমাকে ভালোবাসি ।
মেয়েটির চোখে পানি দেখে একটুমুচকি হেসে ছেলেটা আবার বলল কই ফুল
গুলো দেখি,আমি আসলে দুষ্টুমি করছিলাম ।
আমি তোমাকে ভালোবাসি না ।
মেয়েটি অবাক হয়ে বললকি বলছো এসব ?
ছেলে : তোমাকে সারাজীবন ভালোবাসার কথা না বলে থাকতে পারব , কিন্তু তোমার চোখের
পানি আমি সইতে পারব না বলে দিলাম।
মেয়ে : আমি প্রতিদিন হাজার টা বার কাঁদতে চাই সুখে, তোমার মুখ থেকে ভালোবাসি কথাটা শুনে!
Photo: এক গুচ্ছ গোলাপ হাতে ধরিয়া ছেলেটা বলল:
ছেলে: আমি তোমাকে ভালোবাসি ।
মেয়েটির চোখে পানি দেখে একটুমুচকি হেসে ছেলেটা আবার বলল কই ফুল
গুলো দেখি,আমি আসলে দুষ্টুমি করছিলাম ।
আমি তোমাকে ভালোবাসি না ।
মেয়েটি অবাক হয়ে বললকি বলছো এসব ?
ছেলে : তোমাকে সারাজীবন ভালোবাসার কথা না বলে থাকতে পারব , কিন্তু তোমার চোখের
পানি আমি সইতে পারব না বলে দিলাম।
মেয়ে : আমি প্রতিদিন হাজার টা বার কাঁদতে চাই সুখে, তোমার মুখ থেকে ভালোবাসি কথাটা শুনে!

কোনো কিছুই পরিবর্তিত হয় নি।
আগে যেমন যা যেখানে ছিলো এই মুহূর্তেও
তাই আছে। তবু আমার কাছে মনে হচ্ছে এই
নীল গ্রহে আমার কেউ নেই...

......................
Photo: কোনো কিছুই পরিবর্তিত হয় নি।
আগে যেমন যা যেখানে ছিলো এই মুহূর্তেও
তাই আছে। তবু আমার কাছে মনে হচ্ছে এই
নীল গ্রহে আমার কেউ নেই...

ভালোবাসার গভীরতা আর নেই
ভরের শিশির সম
বড় বেশি ক্ষণস্থায়ী সে এখন
ঝোড়ো হাওয়ার মত
এই আসে এই চলে যায় ............
অন্ধ ভালোবাসাঃ
উপমাটি হয়েছে উধাও
ধীর লয়ে সেথায় বেঁধেছে বাসা
হিংসা আর হীনতা সর্বনাশা...





 ✔
Photo: ভালোবাসার গভীরতা আর নেই
ভরের শিশির সম
বড় বেশি ক্ষণস্থায়ী সে এখন
ঝোড়ো হাওয়ার মত
এই আসে এই চলে যায় ............
অন্ধ ভালোবাসাঃ
উপমাটি হয়েছে উধাও
ধীর লয়ে সেথায় বেঁধেছে বাসা
হিংসা আর হীনতা সর্বনাশা...





সনজু .....✔

" প্রতিক্ষায় "

বৃষ্টি ভেজা রাতের বেলায় ,
একা বসে ভাবছি তোমায় ..
আছো তুমি বহু দূরে ,
তাইতো তোমায় মনে পরে ..
কত স্বপ্ন চোখের পাতায় ,
কত কথা মনের খাতায় ..
যত দূরেই থাক তুমি ,,
আছি তোমারি প্রতিক্ষায় .....................





..✔
Photo: " প্রতিক্ষায় "

বৃষ্টি ভেজা রাতের বেলায় ,
একা বসে ভাবছি তোমায় ..
আছো তুমি বহু দূরে ,
তাইতো তোমায় মনে পরে ..
কত স্বপ্ন চোখের পাতায় ,
কত কথা মনের খাতায় ..
যত দূরেই থাক তুমি ,,
আছি তোমারি প্রতিক্ষায় .....................






সনজু .....✔

''খুজেছিলি আমাকে
হাজারো ভীড়ের মাঝে
তপ্ত রৌদ্দুরের নিঃস্বঙ্গতায়
হারিয়ে ফেলেছি তোকে
হাজারো রঙের ভীড়ে,
ভেবেছিলাম তোকে নিয়ে লিখবো আরো কবিতা
এলোমেলো শত শত কবিতা.........''





''যখন আঁধারেরা নামে,
তোমার প্রতিক্ষার
ওই জনাকীর্ণ নিস্তব্ধতায়
তুমি মনে রেখো আমায় ।
আলোময় ওই বিশাল গোলকধাধায় হয়তো হারাবো
কিন্তু তুমি মনে রেখো আমায় ।
যেদিন তোমার মনের চাতক পাখিটা
মুক্ত হয়ে উড়বে,
ওই সাদা মেঘেদের দলে-
তুমি মনে রাখবে তো আমায়.....''
Photo: ''যখন আঁধারেরা নামে,
তোমার প্রতিক্ষার
ওই জনাকীর্ণ নিস্তব্ধতায়
তুমি মনে রেখো আমায় ।
আলোময় ওই বিশাল গোলকধাধায় হয়তো হারাবো
কিন্তু তুমি মনে রেখো আমায় ।
যেদিন তোমার মনের চাতক পাখিটা
মুক্ত হয়ে উড়বে,
ওই সাদা মেঘেদের দলে-
তুমি মনে রাখবে তো আমায়.....''



আজ তুমি আমার হাত টি তোমার নিজের সুখের কথা ভেবে ছেরে দিলে,
একদিন বুঝবে যে কত টুকু ভালবেসে ছিলাম তোমায়,
সেই দিন হয়ত বলবে যে কি হারিয়েছ তুমি।
কিন্তু হতাশ হয়োনা আমি সেইদিন অপেক্ষায় থাকব তোমার ।
ঠিক সেভাবেই ভালবাসব যেভাবে তোমাকে পুর্বে ভালবেসেছিলাম ।

কেমন আছো ? নিচ্ছয় ভালো? আমিও চাই তুমি ভালো থেকো ।কারন আমি চাই আমার ভালোবাসার
মানুষটি সুখে থাকুক_ কারন যে সুখ আমি দেওয়ার অধিকার হারিয়েছি সেই সুখ তোমার নতুন সঙ্গী তোমাকে দেবে। আর
আমি চাই তুমি খুব সুখি হও__
তোমাকে না বলা আমার অপ্রকাশিত কথা গুলো আজ আমি প্রকাশ করলাম_ আমি জানি তুমি এই পেইজ এর নিয়মিত
পাঠক তাই এইখানে লিখা_
সেইদিন গুলোর মতো এখনো আমি তোমাকে ভালোবাসি , তোমাকে নিয়ে সপ্ন দেখি, তোমাকে নিয়ে লিখি অনেক
কবিতা, আর তোমাকে নিয়ে যে সপ্ন গুলো আমি দেখি তাই হলো আমার জীবন ছলার প্রেরনা_
আজো জানিনা কি এমন ভুল ছিলো আমার ভালোবাসায়_ যে কারনে আমার ভালোবাসার বাঁধন ছিন্ন করে তুমি আজ
অন্যের আঙ্গিনায়_ একদিন তুমিতো বলেছিলে তুমি শুধু আমার ভালোবাসা চাও_ তাহলে কেনো তুমি আজ
আমাকে একা রেখে শুন্য করে কাঁদিয়ে চলে গেলে? তুমি কি জানো আমার চোখে এখনো তোমাকে হারানোর অঝর
শ্ব্রাবন? আজ কষ্টে ভরা আমার জীবন। আমি তোমারি পথ চেয়ে থাকি সারাক্ষন_ তবুও আমি চাই চিরসুখী হোক
তোমারি জীবন___
ভালো থেকো সুখে থেকো সারাজীবন

ইতি_- তোমারি সেই আমি
.............................................................................................................................
◆ ◆ ◆ ◆ ◆ ◆ ◆ ◆
ছেলেঃ হঠাৎ জরুরি তলব কেন সোনা? মেয়েঃ কারণ আছে।
কাল রাতে আব্বুকে তোমার
কথা বলেছি। আব্বু আজ সন্ধ্যায়
তোমাকে আমাদের বাসায় আসতে বলেছেন। ছেলেঃ হায়-হায়, করছো কি ?? মেয়েঃ কেন, কি হইছে? ছেলেঃ আমাকে না জানিয়েই . . . মেয়েঃ থামো তো! ২ বছর ধরেই
তো তোমাকে বলে যাচ্ছি। খালি আর কয়েকদিন
পরে, আর কয়েকদিন পরে! তোমার আশায়
থাকলে আমি বুড়ি হয়ে যাবো! তবু তোমার আর
কয়েকদিন শেষ হবেনা, বুচ্ছো ?? ছেলেঃ আমার জন্য না হয় বুড়িই হলে।
বুড়ি হয়ে গান গাইবে— পরাণের বান্ধবরে,
বুড়ি হইলাম তোর কারণে !! মেয়েটি হাতের পার্স দিয়ে ছেলেটির
পিঠে মারতে মারতে বললঃ ধ্যেৎ, সবসময়
ফাইজলামি ভাল্লাগেনা, বুচ্ছো ?? ছেলেঃ আচ্ছা যাও, আর ফাইজলামি করবোনা।
এই মুখে তালা দিলাম। মেয়েটি ছেলেটির দিকে একটা শপিং ব্যাগ
এগিয়ে দিতে-দিতে বললঃ এই যে ধরো,
এখানে একটা শার্ট আছে, এটা পরে যাবা।
তোমার যা চয়েজ, দেখা যাবে কিস মি, লাভ
মি এইসব লেখা কোন টি-শার্ট
পরে চলে যাবে !! ছেলেঃ কেন সোনা? আমার চয়েজ কি খুবই
খারাপ ?? মেয়েঃ আবার জিগায় !! ছেলেঃ তাহলে তোমাকে চয়েজ করলাম
কিভাবে, জান ?? মেয়েঃ জীবনে ঐ একটাই ভালো কিছু চয়েজ
করছিলা বুচ্ছো ?? ছেলেঃ তা অবশ্য ঠিক বলেছো। মেয়েঃ (মুখ ভেঙিয়ে) তা অবশ্য ঠিক বলেছো !!
আর শোন, একদম সিগারেট খেয়ে আমাদের
বাসায় ঢুকবানা। আমি ওসব সহ্য করলেও আমার
আব্বু কিন্তু ওসব একেবারেই পছন্দ করেনা। ছেলেঃ (মুখ ভেঙিয়ে) আর শোন, একদম সিগারেট
খেয়ে আমাদের বাসায় ঢুকবানা। আমি ওসব সহ্য
করলেও আমার আব্বু ওসব পছন্দ করেনা !! মেয়েঃ ফাজিল কোথাকার !! আল্লাহ, তুমি ওর
কপালে কেন একটা দরজাল
মেয়ে জুটিয়ে দিলানা !! ছেলেটা ফিক করে হেসে ফেলল, আর চাপা গলায়
বললঃ তুমি কি কম নাকি ?? কি বললা তুমি? আমি দরজাল? ঠিক আছে,
ভালো মেয়ে খুঁজে নাও, আমি চললাম। — এই
বলে মেয়েটি উঠে পড়তে চাইলো, ছেলেটি তার
হাত ধরে ফেলল। ছেলেঃ এই, রাগ করো কেন? তুমি জানোনা,
রাগলে তোমার চেহারাটা আমার
কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর বস্তু
বলে মনে হয়, তাই তো রাগাই। লাভ ইউ। মেয়েঃ (মুচকি হেসে) লাভ ইউ টু। আচ্ছা আচ্ছা,
অনেক রোমান্স হয়েছে, এবার চলো। ৭টার
মধ্যে কিন্তু বাসায় চলে আসবা . . . ◆ ◆ ◆ ◆ ◆ ◆ ◆ ◆ এটাই বোধহয় সত্যিকারের ভালোবাসা।
দুষ্টুমি আছে, কিন্তু নষ্টামি নেই . . ..

_প্রেমে পড়ার কিছু লক্ষণ ...



১.তুমি SOFT & SLOW SONG
শুনবে।
২. তুমি তার নাম
যেখানে দেখবে সেখানেই দাড়িয়ে পরবে।
৩.FRIEND
রা তাকে নিয়ে খুচালে তুমি রাগবে না।
৪. তুমি রাস্তাতে উদাস
হয়ে আস্তে আস্তে হাটবে।
৬.তোমার বৃষ্টিতে ভিজতে ভাললাগবে। ৭.তোমার প্রকৃতি দেখতে ভাললাগবে।
৮. তুমি বুঝতেই পারবে না যে,এই
STATUS
এর ৫ম পয়েন্টটা মিস হয়েছে।
৯. এবার মনে মনে হাসবে আর ভাববে
১০.এরপর ভাববেন তাহলে কি আমি সত্যিই প্রেমে পড়েছি :

srabon.....

শনিবার, ২০ জুলাই, ২০১৩


কেউ ভুলে যায়.!!
কেউ চলে যায়.!!
কেউ বদলে যায়.!!
কেউ হারিয়ে যায়.!!
কিন্তু
আমি এমন নই.... আমি বারবার আসবো তোমার কাছে
আর বলব বন্ধু আমি আজ ও
ভূলিনি তোমায়!!!
আর ভুলবো ও না ...!!
.......................
তোমাকে ছাড়া আমি এখন ভালই আছি...আস্তে আস্তে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করছি তোমাকে...বলতে গেলে এখন তোমার কথা মনেই পরে না...তোমার জন্য এখন আর কষ্টও পাই না...শুধু কেন জানি মাঝে মাঝে কষ্ট হয়...আমার হৃদয়ের অকৃত্রিম ভালবাসা তুমি বুঝতে পারনি কখনো...
কিছু জিনিস খেয়াল
করে দেখেছেন??
○ ভালবাসার মানুষ যত খারাপই
হোক
আপনারকাছে সে সব সময়ই
ভালো..... .
○ তার সাথে আপনার সম্পর্ক
শেষহওয়ার
পরও কেউ যদি তাকে নিয়ে খারাপ
কোন
মন্তব্য করে তখন আপনি খুব রেগে যান
হয়তো কাউকে বুঝতেদেন না.....
.
○ আপনার বিপরীত লিঙ্গের
কারো সাথে কথাবলার সময়
খুজে বের করার চেষ্টা করেন তার
সাথে আপনার
ভালবাসার মানুষটার কি কি মিল
আছে.....
.
○ হঠাৎ তার পছন্দের কোন জিনিসযদি আপনার
সামনে পরে যায়
আপনি চেষ্টা করলেও
তারকথা মনে না করে থাকতে পার
.
○ তার সাথে যে জায়গা গুলোতে আপনি বস
ঐ জায়গা গুলোতে গেলে সব
সময়সে জায়গাটাই বসার
চেষ্টা করবেনযেখানে আপনার
ভালবাসার মানুষবসতো.....
. ○ তার কাছ থেকে পাওয়া যে কোন
জিনিস এখনও আপনার
কাছে আছে যাআপনার পড়ার বই
গুলোর
চেয়ে ভাল অবস্থায় আছে.....
(যদি ফেরত না দিয়ে থাকেন আর ফেলে না দিলে)
.
○ ঘুমাতে যাওয়ার
আগে তাকে ভুলে হলেও একবার
মনে করেন.....

এক গুচ্ছ গোলাপ

এক গুচ্ছ গোলাপ
হাতে ধরিয়া ছেলেটা বলল:
ছেলে:
আমি তোমাকে ভালোবাসি ।
মেয়েটির চোখে পানি দেখে একটু
মুচকি হেসে ছেলেটা আবার বলল কই ফুল
গুলো দেখি,
আমি আসলে দুষ্টুমি করছিলাম ।
আমি তোমাকে ভালোবাসি না ।
মেয়েটি অবাক হয়ে বলল
কি বলছো এসব ? ...
ছেলে : তোমাকে সারাজীবন
ভালোবাসার
কথা না বলে থাকতে পারব , কিন্তু
তোমার চোখের
পানি আমি সইতে পারব
না বলে দিলাম।
মেয়ে : আমি প্রতিদিন
হাজারটা বার
কাঁদতে চাই সুখে, তোমার মুখ


anindita

আচ্ছা তুমি কি সেই

আচ্ছা তুমি কি সেই তুমি ?
যাকে আমি ভালোবেসে ছিলাম ,
যাকে সবচেয়ে আপন
মানুষটা ভেবেছিলাম ,
একটু একটু করে তোমাকে
কাছে পাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলাম ,
তোমার ছবির দিকে তাকিয়ে
নিজেকে বিশ্বাস করাতে
কষ্ট হয় এই তোমাকে
ভালোবেসে ছিলাম আমি ,,
বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়
এই তুমি সেই তুমি না ,,
কারণ তুমি সময় আর নিজের
প্রয়োজনে সবচেয়ে
আপন মানুষটা কে ভুলে যেতে পার ,
মুছে দিতে পার হৃদয় থেকে
পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো কে ,
ধ্বংস করে দিতে পার
কারো তিল তিল করে গড়া স্বপ্নগুলো কে ,,
এলোমেলো করে দিতে পার কারো জীবনটা কে ,,
তাইতো আজ শুধু বলবো তুমি কারো জীবন গড়ে দিতে না পার ,, তার জীবনটা কে এলোমেলো আর ধ্বংস করে দিও না ,,,,,

কারণ সত্যিই তুমি বোঝনা স্বপ্নগুলো ভাঙ্গার কষ্ট কি ,, 

..............................................................................anindita.....................................................................................
♦ জন্মের ৯৫ দিন পর আমরা বুঝতে পারি মা কে

♦ অক্ষর শেখার ৯০ দিন পর বুঝতে পারি শব্দ কি

♦ ভালবাসার মানুষটা ছেড়ে যাবার ৩০ মিনিট পর আমরা বুঝতেপারি অশ্রু কি

♦ প্রিয় মানুষের মৃত্যুর ২০ দিন পর বুঝতে পারি জীবন থেমে থাকবে না, সে তার মতই চলবে

♦ বন্ধু ছেড়ে যাবার ৩ সপ্তাহ পর অনুভব করি নিঃসঙ্গতা কি

♦ সাড়ে ৩ হাত মাটির ঘর কবরে নামলে বুঝি জীবন কি !!

→অভিজ্ঞতা হচ্ছে সেটাই যা আমাদের সাথে ঘটে গেছে 

sssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssssss

মন বাড়িয়ে ছুঁই



(১) ভার্সিটিতে যখন সবে পা দিয়েছি ---

সকালে ঘুম ভাঙতেই দেখি তূর্যর টেক্সট , ‘’সাড়ে সাতটার ট্রেনে আমাদের বগিতে চলে এসো’’ ।
তূর্য টেক্সট করেছে ! কি জানি , ঘুমভাঙ্গা চোখে হয়তো ভুলভাল দেখছি । চোখ ভালমত কচলে আরও দুবার পড়লাম ।নাহ্‌ ! ভুল দেখিনি ।তুর্যই ... । ছোট্ট একটা রিপ্লাই দিলাম , ঠিক আছে । খুব দ্রুত রেডি হয়ে সাতটার মধ্যেই পৌঁছে যাই স্টেশনে ।

তুর্য এখনো আসেনি । এত আগে ও আসেনা কখনো ।আমি চলে আসি ।কারো জন্য অপেক্ষা ব্যাপারটা নাকি খুব বিরক্তিকর কিন্তু কেন জানি ওর জন্য অপেক্ষা করতে আমার একটুও খারাপ লাগেনা ।

ট্রেন ছাড়ার ঠিক দুমিনিট আগে ও এসে পৌঁছোয় । আমার সামনের সীটে বসতে বসতে বলে ,
কি খবর বানরি ?
ওর চোখে তখন দুষ্টুমির হাসি । আমিও হেসে ফেলি ।
হুম , ভাল । আপনি ভাল তো ছাগল সাহেব ?
আর ভাল...একটা বানরিকে সামনে বসিয়ে কতটুকুই বা ভাল থাকা যায়, বল ?
ছাগল তো ... বানর আর মানুষের মাঝে পার্থক্য বুঝবেন কি করে ?

বছর দুয়েকের সিনিয়র তুর্যর সাথে আমার সম্পর্কটা এমনই । সারাক্ষণ একজন আরেকজনের পেছনে লেগে থাকা , কারনে অকারনে খোঁচানো আর দুষ্ট মিষ্টি ঝগড়া ।
ও প্রায়ই আমাকে প্রশ্ন করে ,
তুমি এত্ত ঝগড়াটে কেন ?
প্রশ্নটা শুনলেই আমার ভীষণ হাসি পায় ।তবু হাসি চেপে নতুন উদ্যমে ওর সাথে ঝগড়া শুরু করি ।
কি বললেন আপনি ? ঝগড়াটে ? ঝগড়ার কি দেখসেন এখনো ? ব্লা ব্লা ব্লা...

তূর্যকে কি করে বোঝাই আমার যত ঝগড়া সব ওর সাথেই... ! যতক্ষণ তূর্য আমার সামনে থাকে, আশেপাশের পৃথিবীটাকে আমি বেমালুম ভুলে যাই । আমার সমস্ত জুড়ে তখন শুধু তূর্য আর তূর্য । তূর্যর কয়েকটা ব্যাপার আমার ভীষণ ভাল লাগে । ও যখন আলতো ঠোঁট চেপে খুব হালকা হাসে আমি মুগ্ধ দৃষ্টিতে ওকে দেখতে দেখতে নিঃশব্দে নির্মলেন্দুর কবিতা আওড়ে যাই ,
আমারো চাই বুকের মধ্যে এক্ষুনি চাই ধ্বনি,
যখনই আমি তোমাকে ভাবি,তক্ষুনি তা শুনি ।
সময় বসে ভেংচি কাটে,--এক্ষুনি নয় সব
আমিও বুঝি, তোমাকে পাওয়া একটু অসম্ভব ।

আর, ও যখন হাতের উল্টোপিঠে কপালের কাল্পনিক ঘাম মুছে হাত ঝাড়া দিয়ে খুব সিরিয়াস ভঙ্গিতে বোঝাতে চায় ‘আমি ক্লান্ত ’ , আমার বড্ড হাসি পায় । ওর মিথ্যে সিরিয়াসনেস দেখে আমি খুব একচোট হেসে নিই ।
আমার খুব ইচ্ছে করে পুরোটা জীবন ওর সাথে এমন খুনসুটিতেই কাটিয়ে দিব । অকারনে ওকে রাগিয়ে দিব , ইচ্ছেমতোন ওর অপছন্দের কাজগুলো করব ।আমার কান্ডকীর্তন দেখে ও আমাকে খুব বকে দেবে , রেগেমেগে চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকাবে আর আমি তখন , ঠিক তখনই ওর গোল্টু গোল্টু চোখগুলোর দিকে তাকিয়ে ফিক্‌ করে হেসে দিব । ভ্রু নাচিয়ে বলব ,
‘’ দেখলে মশাই , কেমন ধাপ্পা দিলাম ! রাগাতে পারবো না বলেছিলে না ! খুব তো রাগিয়ে দিলাম । ‘’
আমি ইচ্ছে করে ওকে রাগিয়ে দিয়েছি বুঝতে পেরে ও এগিয়ে এসে আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে, ‘পঁচা মেয়ে একটা !’ বলতে বলতে জোরে কান মলে দেবে ।
আর আমি ? কান্নার ভান করে ওর বুকে মাথা রেখে , মুঠো পাকিয়ে ওর পেটের ঠিক মাঝখানটাতে বিশাল একটা ঘুষি বসিয়ে দৌড়ে পালাবো । পালিয়ে যাবার সময় মুখ বেঁকিয়ে ওকে ভেংচি কেটে বলব , ‘হুম! খুব পঁচা !’

(২) ভার্সিটি যখন শেষের পথে ---

এবারের গল্পটা একটু অন্যরকম ।তূর্য এখন বেশ বদলে গেছে । এখন আর আগের মত ঘর কাঁপিয়ে হাসে না । শেষ কবে ওর সাথে ঝগড়া করেছি , ওর বড়বড় চোখদুটোতে দুষ্টুমির খেলা দেখেছি আমার ঠিক মনে পড়েনা । তূর্য আজকাল খুব সিরিয়াস । আগে একটু আধটু জড়িত থাকলেও রাজনীতিতে ও এখন বেশ সক্রিয় । শুধু কি রাজনীতি করলেই চলে ? শুনেছি , নিয়মত নেশাও করে । তূর্যর সাথে দেখা হয়না অনেকদিন ।রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত খুব। আমিও আর ঘাঁটাইনা । ওকে যে দেখতে ইচ্ছে করেনা , তা না। কিন্তু অপূর্ণতার ভয়ে ইচ্ছেটাকে সযত্নে বিসর্জন দিই ।

এরই মাঝে হঠাত একদিন ঝুপড়িতে দেখি তূর্য বসে আছে ।উদ্ভট সব ছেলেদের মাঝে বসে সিগারেট ফুঁকছে আর ঢুলু ঢুলু চোখে চারপাশে তাকাচ্ছে ।ওর লাল হয়ে যাওয়া চোখের চাহনি দেখে আমার বুকের ভেতরটা হুহু করে ওঠে । গলা বেয়ে উঠে আসা কান্নাটাকে প্রাণপণে সামলে আমি তূর্যর সামনে গিয়ে দাঁড়াই । ।আমাকে দেখে বোধয় ও একটু অস্বস্তিতে পড়ে যায় ।ওর অস্বস্তি দেখে আমিই কথা বলি , একটু আসবেন আমার সাথে ?

কিছু না বলে চুপচাপ উঠে আসে । ওর বন্ধুদের থেকে কিছুটা তফাতে অন্য একটা বেঞ্চিতে বসি দুজন।
তুর্যর হাতে তখনও সিগারেট । আমি সন্তর্পণে ওর হাত থেকে সিগারেটটা নিয়ে ফেলে দিই ।ও নিস্পৃহ চোখে আমার দিকে একবার তাকায় । আমার ভেতরে তখন রাজ্যের ভাংচুর । আমি খুব ধীরে ধীরে ওর টেবিলেরাখা হাতদুটো আমার মুঠোয় পুরে ,টকটকে লাল চোখ দু্টোতে চোখ রেখে থেমে থমে বলি -
আপনি কি পারেন না আগের মত হয়ে যেতে ? একদম আগের মত ?
তূর্যর হাতদুটো আরও শক্ত করে চেপে ধরি ।আমার দু’গালে তখন জলের ধারা । ও ভাবলেশহীন । কান্নার দমকে আমি কেঁপে কেঁপে উঠি ।আমি বুঝতে পারি তূর্য খুব বিব্রত বোধ করছে । ও অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে রাখে ।আমার মুঠো একটু আলগা হতেই তূর্য ওর হাত ছাড়িয়ে নিয়ে নিঃশব্দে চলে যায় । আমি বসে থাকি একরাশ অভিমান নিয়ে । আমার কান্নারা ওকে ছুঁতে পারেনা । একটুও না ।
তারপর অনেক অনেকদিন তূর্যর আর কোন খোঁজ পাইনা । ফোন সুইচ্‌ড্‌ অফ্‌ , ক্যাম্পাসেও দেখিনা । হয়তো ক্যাম্পাসে আসে , আমারই চোখে পড়েনা ।স্টেশনে , ট্রেনে , ঝুপড়িতে , জিরো পয়েন্টে , ওর ফ্যাকাল্টিতে সবখানেই আনমনে খুঁজে বেড়াই । কোত্থাও ওর দেখা পাইনা । তবু মনে মনে স্বপ্ন বুনি , তূর্য একদিন ভাল হয়ে যাবে । সুস্থ জীবন যাপন করবে। বগি দাবিয়ে গাইবে , বন্ধুদের সাথে মজা করবে , প্রাণখুলে হাসবে আর আমাকে দেখলেই দুষ্টুমি ভরা চোখে বলবে , বানরি একটা !!
সৃষ্টিকর্তার কাছে সারাক্ষণ প্রার্থনা করি , তূর্য যেন ভাল হয়ে যায় । ও যেন আগের মত , ঠিক আগের তূর্যটা হয়ে যায় ।

(৩) ভার্সিটির গন্ডি পেরিয়ে ---

পড়াশোনার পাট চুকিয়ে চাকরিতে ঢুকেছি কয়েকমাস হল । সারাদিন অফিস শেষে বাসায় এসে আর কিচ্ছুটি করার এনার্জি থাকেনা । একসময় কিছু না করি , প্রতিদিন অন্তত একবার পেপারে চোখ বুলিয়ে নিতাম , ফেসবুকে বসে বন্ধুদের খোঁজ নিতাম । এখন সবকিছুই সপ্তাহান্তে ছুটির দিনটার জন্য তোলা থাকে । সারা সপ্তাহের জমানো পেপারগুলো শুক্রবার বসে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ি ।

একদিন পেপার পড়তে বসে একটা ছবিতে চোখ আটকে যায় । ঠিক সেই হাসি , সেই চাহনি । আমার চিনতে একটুও ভুল হয়না ।ছবিটা কিছুক্ষন উল্টেপাল্টে দেখার পর ওপরের শিরোনাম পড়ি ,
চবিতে ‘’ ...... ‘’ এর দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত ।
তূর্য ?! অসম্ভব !আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে । খুব দ্রুত খবরটা পড়া শেষ করি ।
হুম ।তূর্যই ...
কদিন আগের পুরনো পেপারটা হাতে নিয়ে আমি একদম স্থির হয়ে যাই । পাথর যেন ।

(৪) অন্য পৃথিবীতে ---
তূর্য নেই । আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সত্যটা মানতে কষ্ট হলেও ঠিক মেনে নিয়েছি । তূর্যহীন পৃথিবীটাতে আমি একদম ভাল নেই । ভীষণ ঘুমকাতুরে আমি আজকাল ঠিকমত ঘুমাতে পারিনা । ঘুমে চোখ বুজে আসতেই তূর্যর গলা শুনতে পাই ,
এই বানরি , তুমি তো আমাকে ভালবাসতে । বলনি কেন , হুমম ?
- আমি অবাক হয়ে জিগ্যেস করি , আপনি জানতেন ?
তূর্য হো হো করে হেসে ওঠে ।
- নিজেকে খুব চালাক ভাবো ,তাই না ?
- উঁহু । চালাক না , বুদ্ধিমতী ।
- বুদ্ধিমতী না ছাই ! আমি হাসলে অমন করে তাকিয়ে থাকতে কেন ? জানোনা , মেয়েদের ওভাবে তাকাতে নেই ?
- জানি তবে মানিনা ।
- ফাজিল একটা ! মানবে না কেন ?
- জানেনই তো কেন ...
- উঁহু , জানিনা । তোমার মুখে শুনব ।

আমার ঘুম ভেঙ্গে যায় । এবারও আমি বলতে পারিনা , ভালবাসি । তাতে কি ? ঘুম ভাঙতেই শুরু করি চিরকুটে কাটাকুটি । সবগুলোতেই একই লেখা। ভালবাসি... ভালবাসি...

বাসার সবাই এসে দেখে যায় আমার রুমভর্তি কাগজের ছড়াছড়ি । প্রতিদিনই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি । প্রথমদিন মা এসে খুব বকে যায় । এখন আর কিছু বলেনা । মাঝেমাঝে আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদে । আশপাশের মানুষজন নাকি বলাবলি করছে, আমি পাগল হয়ে গেছি । আমার হাসি পায় , চিরকুটে ভালবাসি লিখলে কি কেউ পাগল হয় ? ওরা খুব বোকা । কিচ্ছু বোঝেনা ।

আচ্ছা , আমার একটা চিরকুটও কি তূর্যের কাছে পৌঁছায় না ? ও কেন প্রতিদিনই বলে , তোমার মুখেই শুনবো ?

তূর্য কখনো কবিতা ভালবাসত না । কিন্ত কাল রাতে আমাকে খুব অবাক করে দিয়ে ও কবিতা শোনার বায়না ধরল ।
- তুমি না খুব কবিতা ভালোবাসো ? আমাকে শোনাবে ?
- কবিতা শুনবেন ? আপনি ? অবাক করলেন ।
- তাই ?
- জ্বি , তাই ।
- হয়েছে । তোমাকে অবাক করতে পেরে আমি ধন্য । এবার কবিতা শোনাও ।

আবৃত্তির ‘আ’ না জানা আমি মাঝরাত্তিরে গভীর আবেগে আমার সবচে’ প্রিয় কবিতাটা ওকে শোনাই ,

হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে
মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুই-কে আমি এক করিনা,
এক-কে করি দুই ।

হেমের মাঝে শুই না যবে
প্রেমের মাঝে শুই ।
তুই কেমন করে যাবি ?
পা বাড়ালে পায়ের ছায়া,
আমাকে তুই পাবি।

তবুও তুই বলিস যদি যাই,
দেখবি তোর সমুখে পথ নাই ।

তখন আমি একটু ছোঁব
হাত বাড়িয়ে জড়াবো তোর
বিদায় দু’টি পায়ে - ।
তুই উঠবি আমার নায়ে,
আমার বৈতরণী নায়ে ।

নায়ের মাঝে বসবো বটে
‘না’-এর মাঝে শোব ;
হাত দিয়ে তো ছোঁবনা মুখ
দুঃখ দিয়ে ছোঁব ।

তুই কেমন করে যাবি ?

( গল্পে ব্যবহৃত কবিতা দুটোই নির্মলেন্দু গুণ এর লেখা । প্রথমটি ‘’তবুও তোমাকে চাই’’ এর অংশবিশেষ , দ্বিতীয়টি ‘’ যাত্রাভঙ্গ ‘’ )

....................................anindita.................................................................
srabon.....................
 আর কতক্ষণ লাগবে তোমার? আমি দাঁড়িয়ে আছি তো।

বিছানায় শুয়ে ভাবছে আবির আসলে আর কতক্ষণ লাগবে।

- কি হল? কই তুমি?
- এইতো বের হলাম। বাস এ উঠবো। কতক্ষণ লাগে তা তো জানি না। তবে তারাতারি আসার চেষ্টা করব।

আসলেই বের হয়েছে আবির। খুব প্রিয় এক জায়গা থেকে। ঘুম। সারাদিন বিছানার সাথে লেপটে থাকতে পারে। শরীরের অবস্থা দেখে বোঝার উপায় নেই এই ছেলে এত ঘুমায়। মারিয়া যে কয়েকটা দিন দেখা করেছে সবসময়ই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। কোনদিন আগে এসে পৌঁছাতে পারেনি আবির। মারিয়া নিজেও বিছানায় শুয়ে কথাগুলো বলছে। ওর অনেক দিনের ইচ্ছা আবির অপেক্ষা করবে, আর মারিয়া বলবে, রাস্তায় অনেক জ্যাম। তাই দেরি হল। আজই হয়ত সেইদিন।
আবির কোনমতে উঠে রেডি হয়ে নিল। আবিরের নিজেরও অনেক ইচ্ছা একদিন আগে যাওয়ার। কিন্তু কোনদিনই হয় না। এই ঘুম আর জ্যাম সব কিছুর জন্য দায়ি। প্রতিটা বার লেট আর প্রতিটা বার শাস্তি। ওহ, সে কি শাস্তি। ভাবাই যায় না।

বাসের জন্য প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা শেষে অবশেষে বাস আসল। মনে মনে অনাগত শাস্তির কথা ভাবছে আবির। খুব ভাল করেই জানে আজকের প্রশ্নের উত্তর দিতেও ব্যর্থ হবে। আজ পর্যন্ত একটা দিনও উত্তর দিয়ে শাস্তি থেকে পার পায়নি আবির। বাসে উঠার পর জানালার পাশে বসল। পাশে কেউ নেই। ২ সিটের অধিকারী হয়ে খুবই খুশি আবির। সব সময় ভাগ্য এত ভাল হয় না। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই সব ভেঙ্গে এক মানুষ এসে আবিরের পাশে বসল। ২ সিটের সুখ এখন হাফ সিটে নেমে এসেছে। এত বড় শরীর নিয়ে পাশে যে মানুষটা বসে আছে তার দেড় সিটেও মনে হয় হচ্ছে না। ২ সিট পেলে সে হাসি মুখে দাঁত বের করে বসে পরবে। ধন্যবাদও দিবে না একবার আবিরকে। মারিয়ার সাথে দেখা হলে তো এমনিতেই শাস্তি অপেক্ষা করছে। তার আগে এই কোন শাস্তি পাচ্ছে আবির?
লাস্ট যেদিন দেরী করে গেল, মারিয়া রাগি রাগি চোখ করে বলল- দেরী হল কেন এত? প্রতিদিন আমি অপেক্ষা করব? কি পাইছ তুমি?
- জ্যাম ছিল রাস্তায়।
- প্রতিদিন এক কথা বলবা না। রাস্তায় জ্যাম ছিল? তো তুমি জামেই থাকতা। আমি যদি এর মাঝে অন্য কারও সাথে বসে গল্প করা শুরু করে দিতাম তুমি কিছু করতে পারতা?
- না না। কি বল তুমি? তুমি কত ভাল মেয়ে। তুমি অমন করতেই পার না।

একটু রাগি মুখে তাকাল মারিয়া। মুখটা নিচু করে ফেলল আবির। নিশ্চয় এখনি প্রশ্ন করবে আবিরকে।

- তুমি তো বাসে আসছ, তাই না?
- হ্যাঁ।
- পাশে কে বসছিল?
- একটা মেয়ে।
- বয়স কত?
- তোমার মত হবে।
- কি কালারের ড্রেস পরেছিল?
- কালো।
- আচ্ছা। ঠিক আছে। আচ্ছা বাসে সিট কয়টা ছিল?
- বাসে সিট? গুনছি নাকি আমি?
- পাশে বসা মেয়ের ড্রেসের কালার দেখতে পারছ আর বাসের সিট গুনতে পার নায়?
- না,ওটা কি সম্ভব নাকি? পাশে বসলে ড্রেস দেখব না?
- তাই দেখ। আমি প্রশ্ন করছি উত্তর দিতে পারনি তুমি। শেষ।
- আজ আবার কি শাস্তি দিবা?
- আজ আমার হাত ধরতে পারবা না। পাশে পাশে ঘুরবা, বসে থাকবা, খাবা একসাথে। কিন্তু হাত ধরতে পারবা না।
- এটা কেমন কথা? আমি কি করে থাকব হাত না ধরে?
- থাকতে হবে। অপরাধ করছ, আবার উত্তরও দিতে পার নায় প্রশ্নের।
- আর এমন হবে না। এরপর থেকে আর দেরী করে আসব না, বিশ্বাস করো।
- না। এর আগেও অনেকবার বলছ। তাও আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। আর সম্ভব না।
- একবারের জন্যও না? আমি না তোমাকে ভালবাসি? আমি হাত ধরব না?
- না।

সেদিন সত্যিই একবারের জন্যও হাত ধরতে দেয়নি মারিয়া। কয়েকবার ধরার ব্যর্থ চেষ্টা করেছিল আবির। প্রতিবারই হতাশ।

একটু চলার পরই জ্যাম। সহ্য করার মতন না। মাঝে ২ বার মারিয়া ফোন দিল। প্রতিবারই বলল আবির, এই তো চলে এসেছি, আর একটু।
আজ কি প্রশ্ন করতে পারে? বাসে লাইট আছে ৪ টা। জানালা ১২ টা। একটা মাত্র ফ্যান যা ড্রাইভার এর মাথার উপর প্রাণপণ ঘুরে চলছে। selfish ড্রাইভার। খালি নিজেরটাই বুঝে। এইদিকে একজন যে হাফ সিটে বসে টিকে থাকার যুদ্ধ করছে সেই দিকে কোন খেয়াল নেই।
মনে হচ্ছে পাশে বসা লোকটাকে কিছু বলতে কিন্তু পরে আর বলা হল না। জানালা দিয়ে বাহিরের লোকজন দেখছে আবির। কত মিষ্টি করে শাসন করে মারিয়া। রাগ করে কত মিষ্টি করে। এত মিষ্টি ভালবাসার সম্পর্ক হয়ত খুব কম মানুষের ভাগ্যেই থাকে।

- ঐ জোরে চালা বাস।

জানালায় সজোরে বিশাল হাত নিয়ে থাপ্পড় দিয়ে বলল আবিরের পাশে বসা বিশাল দেহী মানুষটা। তার বগলের নিচে যে একজন পরে আছে সেই দিকে একদমই খেয়াল নেই।
ওহ, কি দুর্গন্ধ। কি দোষ করেছিল আবির আল্লাহই জানে। দেড় সিট নিয়েছে সমস্যা নেই। বগলের নিচে এভাবে রেখে বাস থাপড়াতে হবে। আরে বডি স্প্রে না থাকুক, অন্তত ঘামাচি পাউডার তো দিয়ে আসতে পারত। বমি আসছে দুর্গন্ধে।
বমির কথা ভাবতেই হঠাৎ মাথায় একটা কথা আসল, আচ্ছা বাসে উঠলে তো অনেকেই বমি করে। ড্রাইভারদের কখনও বমি আসে না? আসলে তখন কি হত?

আজও মারিয়া আগে চলে আসল। প্রচণ্ড রাগ হচ্ছে। ছেলেটা প্রতিদিন দেরি করে আসে। এই যে দেরি করে আসলে হাত ধরতে দেই না, রাগ করি, কথা বলি না। তাও একটা দিন আগে আসে না। আর ছেলেটা কেমন যেন, রাগ করে থাকতে পারিনা ওর উপর। চোখের দিকে তাকালেই রাগ চলে যায়। তাই যতটা সময় রাগ করে থাকি ভুলেও চোখের দিকে তাকাই না। চোখের দিকে তাকালেই এমন একটা অসহায়ের মত ভাব করবে যেন কত কষ্টে আছে। আসলে তো সব ঢঙ। তাও পারি না রাগ করতে। আর ফাজিলটাকে শাস্তি দিয়ে যেটা করতে মানা করব ঐটা আরও বেশি করে করবে। ফাজিল, শয়তান। আজ আসুক , আজ আর ফাজিলটার অসহায়ের মত তাকানো দেখে রাগ ভাঙবে না।

জ্যাম ছেড়েছে তাহলে। বেশি সময় লাগার কথা না আর। আসলেই বড্ড বেশি দেরি করে যাওয়া হয়। মেয়েটা প্রতিদিন একা একা দাঁড়িয়ে থাকে। একটু সময় মত একদিনও যাওয়া হয় না। খারাপ লাগে অনেক, কিন্তু ঘুম না ভাঙলে আমার কি করা?

আবির বিরক্তির চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এমনিতেই মারিয়ার জন্য মন খারাপ। আজ ও শাস্তি পেতে হবে। তার উপর পাশের দানবের যন্ত্রণা। কিছুক্ষণ ধরে অন্য এক যন্ত্রণা দিচ্ছে লোকটা। বাসের হেল্পার পিচ্চিটা যখনি বলছে, বায়ে পেলাস্টিক, বায়ে পেলাস্টিক।
আর আবিরের পাশের লোকটা উঠে উঠে জানালা দিয়ে " পেলাস্টিক " দেখার চেষ্টা করছে। সাথে সাথে আবিরকে তার শরীরের সুগন্ধে রাঙ্গিয়ে দিচ্ছে যাচ্ছেন। আজব মানুষ।

বাস থেকে নেমে তারতারি একটা রিকশা নিয়ে গেল। রিকশা থেকে নেমে আস্তে করে মারিয়ার সামনে এসে দাঁড়াল আবির। আবির বলতে শুরু করল - জানো, আজ এত জ্যাম......
- চুপ। আমি তোমাকে কিছু জিজ্ঞাসা করছি?
- না, দেরি করলাম তো তাই।
- সে তো প্রতিদিনই করো, আর প্রতিদিন এসে একই কথা বল।
- সত্যি কথা বিশ্বাস করো...
- চুপ। বাসে আসছ তো?
- হ্যাঁ।
- বাসে চাকা ছিল কয়টা?
- লাইট ৪ টা, জানালা ১২ টা, ফ্যান একটা selfish ড্রাইভার এর মাথার উপর।
- এগুলো জানতে চাইছি? চাকা কয়টা ছিল?

বাসে চাকা কয়টা ছিল একটু চিন্তা করলেই বলা যাবে। কিন্তু মাথায় কোন কিছু ঢুকছে না এখন।মাথায় একটাই চিন্তা মারিয়া আজ কি শাস্তি দিবে।

- বলতে পারবা না, তাই তো?
- ঠিক মনে করতে পারছি না।
- আজ বাসা থেকে আসার সময় ভেবে এসেছিলাম, আজ আমি তোমাকে খাইয়ে দিব। একসাথে খেতে বসলেই তো বল, একটু খাইয়ে দাও না। ভেবেছিলাম আজ তোমার ইচ্ছাটা পূরণ করব। আজও তুমি দেরি করে আসলা। তোমার ইচ্ছাটা আর পূরণ হচ্ছে না।

আবির মুখ ঘোমড়া করে দাঁড়িয়ে রইল। কোন কথা বলল না। মারিয়াও চোখ নিচের দিকে দিয়ে তাকিয়ে আছে। আবিরের মুখের দিকে তাকানো যাবে না। প্রতিদিন দেরি করবে আর মাফ করে দিবে। কখনও না। মারিয়ার কষ্ট হয় না?
কিছুক্ষণ নীরব থাকার পর মারিয়ার হঠাৎ মনে হল আবির চুপ করে আছে কেন? আজ আর রাগ ভাঙানোর চেষ্টা করছে না কেন? মারিয়া মুখ তুলে আবিরের দিকে তাকাল। আবিরও মুখ নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।

মারিয়া আবিরের কাছে গিয়ে হাত ধরে বলল- এই কি হইছে? এমন চুপ করে আছো কেন? আজ আর রাগ ভাঙ্গাবা না।
- আমি কি ইচ্ছা করে এমন করি? আমার ঘুম ভাঙতে চায় না সকাল বেলা। আর বাস কি আমি চালাই, জ্যাম বাধলে আমি কি করব? আমার খারাপ লাগে না তুমি প্রতিদিন দাঁড়িয়ে থাক? প্রতিদিন আমাকে শাস্তি দাও।

অসহায়ের মত মুখ করে কথা গুলো বলছে আবির। আবারও রাগ চলে গেল মারিয়ার। হাতটা আরও শক্ত করে ধরল মারিয়া। মুখে একটু হাসি নিয়ে বলল- আহারে, আমার পাগলটা দেখি রাগ ও করতে পারে। কত্ত রাগ করছ দেখি তো?
- আমাকে খাইয়ে দিবে না,না?
- দিব তো। তোমাকে দিব না তো কাকে দিব বল? আচ্ছা বল, কি খাবা?
- ফুস্কা, আইস ক্রিম, বাদাম ...
- এই এই, আস্তে আস্তে বল। একটা একটা করে বল।
- সবগুলো খাবো।
- হ্যাঁ সবগুলো খাবে। কিন্তু একসাথে তো পারবা না। একটা একটা করে খাবা, আচ্ছা?
- না খাবো না, খাইয়ে দিবে।
- দিব তো, পাগল।

আইস ক্রিম খাইয়ে দিচ্ছে মারিয়া আবিরকে। আবির খাওয়াতে ব্যাস্ত। আর মারিয়া তাকিয়ে আছে এক দৃষ্টিতে আবিরের দিকে। বড্ড বেশি কান্না পাচ্ছে মারিয়ার। কষ্টে না। খুশিতে। এত ভালবাসে কেন আবিরকে ও? পাগলটার মাঝে কি আছে? জানা নেই। সব কিছু সবসময় জানতে নেই। ভালবাসে বাসুক। এত কিছু বুঝতে গেলে ভালো লাগাটুকু হারিয়ে যেতে পারে।

- আর একটা খাইয়ে দিবে?

আবির আবারও সেইরকম মুখ করে তাকিয়ে আছে। না করার উপায় নেই।

-আচ্ছা দিচ্ছি।
- একটা কথা বলি?
- বল।
- আমি আর কখনও দেরি করে আসব না। আমাকে প্রতিদিন এভাবে খাইয়ে দিবে?
- দিব।
- আমিও তোমাকে একটু খাইয়ে দেই।
- দাও।

আবির আইস ক্রিমটা নিয়ে মারিয়াকে খাইয়ে দিচ্ছে। চোখ দিয়ে পানি পরছে এখনও মারিয়ার। পাগলটার সে দিকে একদম খেয়াল নেই। শুধু খাওয়া নিয়েই ব্যাস্ত। মারিয়া আবিরের হাতটা আর একটু শক্ত করে ধরল। মনে মনে বলল, তোমাকে অনেক ভালবাসি, ছেড়ে যেওনা কখনও।
আবির বুঝল কিনা জানে না।

আবির সবই দেখছে সবই বুঝছে। সব কিছু সবসময় বুঝতে দিতে নেই। একটু রাগ করুক না মেয়েটা। রাগলে অনেক সুন্দর লাগে দেখতে মারিয়াকে।

[♥] যখন


[♥] যখন
একটি ছেলে আপনাকে সরি বলে কিছু না করা সত্ত্বেও [♥]
[♥] যখন
একটি ছেলে আপনার যত্ন নেয় এমন ভাবে যে এখনো সে তাকে ভালবাসে [♥]
[♥] যখন
একটি ছেলে শেষটা দিয়ে হলেও আপনার ফেরানোর চেষ্টা করে [♥]
[♥] যখন
একটি ছেলে আপনার কাছ থেকে শত কষ্ট পাওয়ার পর ও বলে " আমি তোমাকেই ভালবাসি " [♥]
[♥] যখন
একটি ছেলে কোন সমস্যা প্রকাশ করেনা আপনার কাছে [♥]
[♥] যখন
একটি ছেলে সর্বদাই আপনাকে খুশি করার নেশায় থাকে [♥]
[♥] যখন
একটি ছেলে অনেক কষ্টে থাকার পর ও
আপনাকে না বলে আপান্র সুখের কথা চিন্তা করে [♥]
[♥] যখন
একটি ছেলে আপনাকে ত্যাগ করতে চায় আপনার খারাপ ব্যাবহার এর জন্যে কিন্তু সে পারেনা [♥]
এমন ছেলদেরকে ছেড়ে কেউ চলে যাবেন না । আপনি হয়তো জীবনে এমন
কাউকে পাবেন না ।

ক্লাস থেকে বের হতেই বৃষ্টি ডাক দিল,

- ওই, তোর খাতাটা দে তো।
- কেন?
- আরে নোট করব।
- বাপরে কি পড়ালেখা!
- টিটকারী মারবী না। পড়ালেখা না করলে বিয়ে দিয়ে দিবে বলেছে।
- চিন্তা নাই। তোর পাত্রের অভাব হবে না।
- আহা, সবাই তো লাইন ধরেছে।
- আচ্ছা যা, আর কারো গলায় ঝুলতে না পারলেও এই হতভাগা থাকবে।
- থাপ্পড় খাবি? ভাগ
- এত সুন্দর অফার দিলাম শুনলি না। নে, তুই খাতাটাই নে।
- তোর অফার কে.জি দরে বিক্রি করিস। তাও কেউ নিবে কিনা সন্দেহ
- তোরে কইছে। এই দেখ, আমার বইয়ে কে যেন এই লেটার দিইছে
- দেখি তো
- নাম নেই।
- তাহলে তো লাভ লেটার। ব্যাপার-স্যাপার কেমন যেন লাগছে।
-আরে এখনো পড়িনি।
- দে তো ‍পড়ি
- কাউকে বলবি না।
- বলব না মানে! অবশ্যই বলব। দে

হাত থেকে বৃষ্টি চিঠিটা কেড়ে নিল।

প্রিয়,
একই ইয়ারে পড়ি। তাই তুই করেই বলছি। কিছু মনে করিস না।
অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম চিঠিটা লিখব। কিন্তু কিভাবে লিখব বুঝতে পারছিলাম না। যাই হোক, কাল সারারাত ধরে লিখলাম। মনোযোগ দিয়ে পত্রটা পড়িস।
বলব না রাতের তারা,
বলব শুধু একটু দাঁড়া।
একটা কথা বলার আছে,
বলব শুধুই তোর কাছে।
রাতের সব জোৎসনা সাক্ষী,
তাই, তুই পুরাই পাগলি ছাগলি।

- এইটা কি হল?
- যা হল তাই। তুই হইলি ছাগলি। হাহাহাহা। যা এখন সবাইরে গিয়ে বল
- হাসি, তাই না? দাঁড়া তোরে দেখাচ্ছি মজা।

বৃষ্টি ধরার আগেই দৌড় লাগালাম। ধরতে পারলে পিঠ আর আজকে থাকবে না। সাথে মান-ইজ্জতও শেষ হবে। কারণ, পিঠে কিল খাওয়ার পর কান ধরতে হবে। তারপর ছেড়ে দিবে। তাই আপাতত নিরাপদ জায়গার খোঁজে দৌড় লাগালাম।
আমার জীবনের প্রথম টিউশনি শুরু
করেছিলাম এক বড়ভাই এর সোর্সে।
মহসিন হল থেকে বাসাবো, সপ্তাহে ৩
দিন, ভার্সিটি এডমিসনের মেয়ে।
আন্টি শুধু বলেছিল “মার, কাট তোমার
ব্যাপার,
আমি মেয়েকে ঢাবিতে পড়াতে চাই।

সেদিন একটু কনফিউসড হয়ে গেসিলাম,
টাকা কামাইতে যায়ে কি আমাকে এতটা
পড়ানো শুরু করতেই নাস্তা চলে আসল।
প্রথম দিনই ম্যাগি নুডুলস ।

এর পর
চা এর সাথে বিস্কিট, পুরি, সিঙ্গারা,
পিঠা সবই আসত। আমার
ছোটবেলা থেকে ই চেটেপুটে খাওয়ার
অভ্যাস। ভাবতাম
ভদ্রতা করে রেখে দিলে হয়ত খাবার
নষ্ট হবে। ছাত্রীকে প্রথম
দিকে সাধতাম, খেতনা। তাই পরের
দিকে নিজেই পুরোটা খেতাম ।

একদিন খেয়াল করলাম নাস্তার
পরিমান বেড়ে গেছে । খেলাম
পুরোটাই। এর পর
থেকে যেভাবে পরিমাণ
টা বাড়তে থাকল , তাকে আর
নাস্তা বলা চলেনা। একে তো ৫০০০
টাকার টিউশনি, তার উপরে নাস্তার
এমন বাহার।
খুশিতে মাঝে মাঝে রিক্সাতে করে পড়া
। তো একদিন ছাত্রীকে অঙ্ক
করতে দিয়ে এক প্যাকেট টিপ বিস্কিট
আর চা দিয়ে শুরু করেছি আমার নাস্তার
পর্ব। আমি বিস্কিটে প্রথম বাইট
দিয়েছি মাত্র, দেখে ছাত্রী ফিক
করে হেসে দিল , দেখে তো আমার
মুখ দিয়ে আর বিস্কিট ঢুকেনা।
আমি তো ধরেই নিসি কিছু গরবর হইসে।

সেতো কিছুতেই বলবেনা হাসির কারণ।
আমিও খাবার নিয়ে ট্রাম্প করলাম,
না বললে খাবই না। এবার ললনা মুখ
খুলল, আমি নাকি অনেক সুন্দর করে খাই,
একটু ও খাবার রেখে দেইনা,
এটা আন্টি অনেক পছন্দ করে।

একথা শুনে তো কান দিয়ে ধুয়া বাইর
হইতে শুরু করসে আমার । বুঝলাম
আমার নাস্তার পরিমান বেড়ে কেন
ডিনারের পর্যায়ে গেসে।

আমি আস্তে করে বললাম অংক টা শেষ
করেন, আর আধা খাওয়া বিস্কিট টা শেষ
করে অন্য দিকে চেয়ে থাকলাম,
মাথা তো পুরাই হেং খাইছে।

এটা দেখে ছাত্রী ও ভয় পায়ে গেসে,
বলে “ভাইয়া প্লিজ আপনি খাবার শেষ
করেন, নাহলে আম্মু ভাববে আমি কিছু
বলেছি আপনাকে”। ছাত্রীকে বাঁচানোর
জন্য ই ছোট ছোট বাইটে শেষ করলাম
বাকিটা। ভাগ্যিস
আন্টি এটা দেখতে চায়নি যে আমি কতটা খাই
। আমি তার স্নেহের মান
রাখতে পেরেছিলাম, আমার ছাত্রী এখন
ঢাবির পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশনে র
স্টুডেন্ট।

মোরালঃ নাস্তাই সফলতার চাবিকাঠি।

প্রেমিক এবং প্রেমিকার মধ্যে কথা হচ্ছে -

ছেলে : **"বাদাম খাবে ?"

মেয়ে : "না, তুমি খাও।"

ছেলে :"আরে একটু খাওনা। আমি ছিলে দিচ্ছি, নাও একটু খাও।"

মেয়ে :"একটু সিরিয়াস হবে ? তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।"

ছেলে :"সিরিয়াস কথা বলবে তো বল কিন্তু এই বাদাম কি দোষ কি করল ? এত গুল বাদাম কি আমি একা খাব নাকি? নাও খাও।"

মেয়ে :"রুদ্র বি সিরিয়াস, প্লিস। আমি কাল তোমাকে দেখেছি।"

ছেলে :"আমি তো রোজই তোমার এই সুন্দর মুখটা দেখি আমার স্বপ্নে। তোমার লম্বা কাল চুল। কাজল দেয়া চোখ, মুখে এক চিলতে হাসি। "

মেয়ে :"কাল তোমাকে আমি একজনের সাথে দেখেছি স্টেশনে। উনি কে ?"

ছেলে : "আরে এত সিরিয়াস হচ্ছ কেন ? উনি আমার এক আত্মীয়। কেন কিছু হয়ছে নাকি ?"

মেয়ে :"কেমন আত্মীয় ?"
ছেলে : "....................."

মেয়ে :"ওভাবে তাকিয়ে না থেকে আমার প্রশ্নের উত্তর দাও রুদ্র।"

ছেলে :"একটা জিনিস খেয়াল করেছ ? তুমি যখনি আমার উপর খুব রাগ হও তুমি আমাকে আমার নাম ধরে ডাক। ইশ! তোমাকে নিয়ে আমি কি করব বলত ? তুমি যদি এমন ভাবে আমার নাম ধরে রাগে মুখ লাল করে ডাক তাহলে তো আমি তোমার প্রেমে ফানাহয়ে যাব। তুমিএত cute কেন বলত ?"

মেয়ে :"তুমি আমার প্রশ্নের উত্তর দাওনি।"

ছেলে :"আচ্ছা আচ্ছা দিচ্ছি ম্যাডাম। জো হুকুম আপনার। উনি আমার পিতা মহাদয়।"

মেয়ে :"ওই লোকটা কি করে ?"

ছেলে :"লোকটা ? উনি মুদির দোকানে কাজ করে গ্রামে।"

মেয়ে :"এই জন্যই তো ওরকম ক্ষ্যাত। কি রকম ছেঁড়া একটা স্পঞ্জের স্যান্ডেল পরে ছিল। আর চুলে কেমন তেল দিয়ে রেখেছিল, দেখলেই ঘিন্না করে। কি রকম করে লুঙ্গির উপর পাঞ্জাবি পরে ছিল দেখলেই জোকার লাগে। হা হা হা হা।"

ছেলে :"তুমি জান তোমার হাসিটা কি সুন্দর ? তোমার এই হাসি দেখেই আমি তোমার প্রেমে পরেছিলাম। কিন্তু কি আশ্চর্য আজ তোমার হাসিটা খুব কুৎসিত লাগছে।"

মেয়ে :"রুদ্র! তুমি আর কথা বলনা। তোমার লজ্জা করে না এমন একটা গাঁইয়াকে বাবা বলে ডাকতে ? এতদিন তুমি আমার সাথে প্রতারণা করেছ। তুমি আমাকে তোমার বাবার সম্পর্কে কিছু বলনি কেন ?"

ছেলে :"হ্যাঁ আমি অনেক বড় প্রতারণা করে ফেলেছি আমার সৎ খেঁটে খাওয়া বাবার কথা না বলে যিনি আমাকে কষ্টকরে টাকা পাঠিয়েছেন টিউশনের...

**************************************

বন্ধু : "আরে দোস্ত এখানে একা বসে কি করিস ?"

রুদ্র -"কি আর করব। দেখছিস না বাদাম খাচ্ছি।"

বন্ধু :"এত গুল বাদাম একা খাচ্ছিস ? ওহ! আর thanks রে। কাল আমার ক্লাসটার জন্য আব্বাকে আনতে যেতে পারিনি। তুই যদি স্টেশন থেকে না আনতি তাহলে আব্বা যে কি করে কি করত কে জানে।"

রুদ্র - "আরে না কি যে বলিস। কেমন আছে চাচা ? আর ওরকম একজন মানুষের সাথে পরিচয় হতে পারাই তো ভাগ্যের ব্যাপার। চাচা যত কষ্ট করে তোকে বড় করেছে।"

বন্ধু :"হ্যাঁ সত্যি আব্বা অনেক কষ্ট করে বড় করেছেন আমাদের। তুইতো সব জানিস। তোর আব্বার খবর কি ? দেশে ফিরেছেন ?"

রুদ্র - "না, ৬ তারিখ ফিরবে। এখন আছে ব্যবসা নিয়ে। কত যে টাকা কামাবে কে জানে।"

বন্ধু :"চিন্তা করিস না দোস্ত। তিথি কই রে ? সব সময় তোদের দুইজনকে একসাথে দেখি।"

রুদ্র - "চিত্ত বিনে বিত্তে আশ এতেই তার পূর্ণ শ্বাস।"

বন্ধু :"মানে ?"

রুদ্র - "কিছু না। চল উঠি। অনেক দিন আব্দুল চাচার চা খাওয়া হয়না। আজ দুজনে মিলে খাব চল....।

(সংগৃহীত)

শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০১৩

একদিন আমার gf আমার আব্বু কে কল করে...আর ওই এক ফোনেই আমার আব্বু কে বস্ করে ফেলে...



আমার আব্বু & আমার gf এর কথোপকথন=>
আমার gf : হ্যালো, ওই তামান্না তুই কই...
আমি তোকে কল দিয়ে পাই না কেন....ফোন কি আলমারিতে
রাখছ নাকি..(আব্বু k কোনো কথাই বলতে দিলো না..)
আমার আব্বু: মা, তুমি কাকে চাচ্ছ ..মনে হয় ভুল নাম্বার ওকল করছ...
আমার gf ঃঅহ সরি..আঙ্কেল..
আপনি আমাকে ঠিক আমার বাবার মত
করে মা ডেকেছেন...আমার খুব ভালো লাগলো...
আমার আব্বু: আচ্ছা। তোমার নাম কি মা ?কোথা থেকে কল দিস মা ?
আমার gf : জি আমার নাম অমুক। আমি অমুক জায়গায় থাকি।
আপনি আমার বাবার মত কথা বলেন.. আপনার
কথা শুনে আমার খুব ভালো লাগলো।
আমি কি আপনাকে একবার আব্বু বলে ডাকতে পারি।(আমার
আব্বু একাধারে শুনে গেলেন)
আমার আব্বু: আমার কোনো মেয়ে নাই তুমি তোহ আমার
মেয়ের মতোই। তুমি আমাকে আব্বু ডাকলে আমিও খুশি হব।
(কাজ ৫০% শেষ)
আমার gf : আব্বু। আমি আরেক আব্বু পেলাম ...এখন আমার
দুই আব্বু..
কয়েকদিন পর......(আমার আব্বু ও আমার gf এর
কথা চলছিল.. আব্বু কে একরকম হাত করা শেষ)
আমার আব্বু : মা আমি চাই সারাজীবন তুমি আমার
মেয়ে হয়ে থাকো। এবং আমার পাশে দেখতে চাই..
(আমার সাথে ওর বিয়ের ইঙ্গিত।)
আমার gf: হে আব্বু,আমিও চাই আপনার মেয়ে হয়ে থাকতে..
(কাজ শেষ)
কাজ শেষ করে ও আমাকে সব বললো . আমি শুনে 'থ'
এতদিন জানতাম মেয়েরা ছেলেকে পটায় . এখন
দেখি মেয়েরা ছেলের বাপকেও পটিয়ে ফেলে... 

Facebook

সিএনজি টাতে খুব চাপাচাপি করে বসলাম । তিন জনের সিটে চারজন । তার মাঝে আমি একাই ছেলে ।
সুন্দরী ললনাদের পাশে বসলে বরাবরই নিজেকে খুব অসহায় লাগে ।
আজকেও এর ব্যতিক্রম নয় ।
বরং আজ অসহায়ের মাত্রা একটু বেশিই হচ্ছে।
ইচ্ছে করছে চলন্ত সিএনজি থেকেই লাফ মেরে পড়ে যাই ।

লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়া
আমার আবুল টাইপ মুখটা দেখে মেয়ে গুলো মিটিমিটি হেসেই যাচ্ছে । আমিও ওদের পাত্তা না দেওয়ার ভাব নিয়ে কানে এয়ারফোন গুজে বাইরের দিকে তাকিয়ে রইলাম ।

তার আগে আড় চোখে মেয়ে তিনটাকে খুব নিঁখুত ভাবে দেখে নিলাম ।
আমার সাথে বসা মেয়েটাই মাশাল্লা সব থেকে বেশি সুন্দরী । প্রথম দেখাতেই চোখ বন্ধ করে যাদের প্রেম নিবেদন করা যায় সেও নিদ্বিধায় তাদের মাঝে একজন হতে পারে ।

মেয়েটি এখন আশেপাশের কোন কিছুর দিকে খেয়াল না করে এক মনে মোবাইল টিপে যাচ্ছে ।
বাটন টিপার স্টাইল দেখে অনুমান করলাম ফেবুতে হয়তো কারো সাথে চ্যাট করছে ।

আমিও ফেবু ইউজ করি এটা বুঝানোর জন্য মোবাইল টা হাতে নিয়ে আলোর বেগে ফেবুতে ঢুকলাম ।
আড় চোখে আবার দেখতে গিয়ে দেখলাম মেয়েটিও আমার কান্ড কারখানা আড় চোখে দেখছে ।
তবে এতো লুকোচুরির মাঝেও মেয়েটির চোখের কোনে মন খারাপের একটা চিহ্ন স্পষ্ট দেখতে পেলাম ।

ফেবুতে ঢুকেই দেখি তানিয়া অনলাইনে ।
একসাথে তিনটা মেসেজ পাঠিয়ে রেখেছে ।
পর পর তিন মেসেজ মানে ভীষণ রেগে আছে ।
আজ সারা দিন ওর কোনো খবর নেওয়া হয়নি সেই কারণেই হয়তো হবে ।
বুঝতে পারি না মেয়েটা কি আমার প্রেমে পড়ছে?
প্রেমে পড়লে মেয়েরা অদ্বূত ভাবে কথায় কথায় রাগ করে । যা আজকাল তানিয়াও আমার সাথে করছে ।কিন্তু আমরা এখনো তো কেউ কাউকে দেখিইনি । এমনকি কেউ কারো ফোন নাম্বার টাও জানি না ।
তবে আমরা একই শহর ময়মনসিংহেই থাকি ।
ও অনেক বারই আমার সাথে দেখা করার কথা বলেছিল কিন্তু আমিই ওর সাথে দেখা করার আগ্রহ দেখাই না ।
শুধু চ্যাট করেই প্রেমে পড়ে যাবে এই জটিল সমীকরণের হিসেব টাও কিছুতে মেলাতে পারি না ।

পরপর অনেক গুলা মেসেজ দিলাম কিন্তু তানিয়ার রাগটা কিছুতেই ভাঙ্গছে না ।
হঠাত্‍ মোটা মাথায় এক বুদ্ধি আসল ।
নারী নাকি নারীকেই হিংসে করে সব থেকে বেশি তাও যদি পছন্দের মানুষ নিয়ে হয় ।
তাই এই সুত্রটা কাজে লাগিয়ে রাগ ভাঙ্গানোর জন্য ওকে এগারো বারের মতো রিপ্লে দিলাম
-জানিস, এখন আমি একটা সুন্দরী মেয়ের পাশে বসে আছি ।মেয়েটাকে যতই দেখছি ততবারই প্রেমে পড়ছি ।
যা ভেবেছি তাই ।
এবার ঠিকই রিপ্লে আসল,
-তুমি কি ঐ মেয়ের সাথে কথা বলছো । এখনো বলছি অন্য দিকে তাকাও ।
-না এখনো বলি নাই । তবে আপনার রাগ না কমলে আরো বেশি করে ওর দিকে তাকাবো ।
চোখ দিয়ে ভেংছি কাটবো।
-নিজে অন্যায় করে এখন আমাকেই ব্ল্যাক মেইল করা হচ্ছে । দাড়ান দেখাচ্ছি মজা ।
এরপর রিপ্লেতে অনেক গুলো ডিসুম ডিসুম এর ইমো এলো ।
তানির ১০০০ বোল্টের রাগটাও আস্তে আস্তে কমে 0বোল্টে চলে এলো ।
হঠাত্‍ কি মনে করে পাশে বসা মেয়েটির দিকে তাকালাম ।
মেয়েটির ফর্সা মুখখানা মেঘলা হয়ে আছে ।
মন্দ লাগছে না । ফর্সা মুখের মেঘ রঙ আমার বরাবরই ভালো লাগে । অনুমান করলাম হয়তো কাছের কেউ কিছু বলেছে তাই এই অবস্হা ।

তানিকে এবার সৌজন্যমূলক মেসেজ দিলাম,
-কি করছো?
- সিএনজিতে । বাসায় যাচ্ছি ।
-সাখে কে আছে?
-আমরা তিন বান্ধবী । আর কেউ না । তবে আমার পাশে একটা গোবর গনেশ বসে আছে ।খুব ভাব নিচ্ছে ।
আমাদের দিকে ভালো করে তাকিয়েও দেখছে না ।
এবার আমার কান খাড়া হয়ে গেল । বুক আর পেট একসাথে মোচড় দিয়ে উঠল ।
পাশে বসা মেয়েটার দিকে একটু এগিয়ে ওর মোবাইলটা দেখার চেষ্টা করলাম ।
আমি টাশকিত বাঁশকিত ।
ওর ইনবক্সে আমার আইডি নেইম ।
আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না এই পরির মতো মেয়েটা তানি ।
কিছুক্ষণ বাকরুদ্ধ থেকে ওকে রিপ্লে দিলাম ।
-ছেলেটা দেখতে কেমন? তোর পছন্দ হইছে নাকি?
- আরে না । তবে দেখতে মন্দ না । আমার বান্ধবীর নাকি খুব পছন্দ হইছে ।:-P
ছাই রংয়ের শার্ট আর চোখের চশমাটা খুব মানিয়েছে ।

নিজের শার্টের দিকে তাকিয়ে দেখলাম
হুম আমার টাও ছাই কালারের শার্ট ।
চশমা টা হাত দিয়ে দেখলাম না এটাও ঠিক জায়গাতেই আছে ।

এবার আমি পাশে বসা ওর দিকে চোখ বড়ো বড়ো করে ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকালাম ।
ও বোধ হয় ভয় পাচ্ছে ।
চোখে মুখে স্পষ্ট ভয়ের ছাপ ।
আমার খুব আনন্দ হচ্ছে ।
অদৃশ্য মানুষ হয়ে কাছের মানুষ গুলো কে ভয় দেখানোর মাঝে যে এতো মজা তা এই প্রথম ঠের পেলাম ।
এবার ওর দিকে তাকিয়ে রোমিও টাইপের মুচকি একটা হাসি দিলাম ।
ও কপালে বিরক্তির ভাজ টেনে অন্য দিকে তাকিয়ে রইলো ।

ওর কাছ থেকে মেসেজ আসলো,
-জানিস ঐ গোবর গনেশ টা আমার দিকে কেমন করে জানি তাকাচ্ছে ।
আমার খুব বিরক্তি লাগছে ।

এবার আমি হাসি আর আটকাতে পারলাম না । একা একাই হেসে ফেললাম ।
ও আমার দিকে বিস্ময়ের চোখে বার বার তাকাচ্ছে । হয়তো আমাকে পাগল ভাবছে ।
কিন্তু আমি হেসেই যাচ্ছি ।

সিএনজি ব্রীজের কাছাকাছি এসে গেছে । আমরা সিএনজি থেকে নামলাম ।
যাওয়ার আগে ওকে বললাম,
-ভালো, থাকুন মিস তানিয়া ।
এই পাগল সিএনজিতে বসেই আপনার প্রেমে পড়ে গেছে ।
ও কৌতুহল বিস্ময় ভয় লজ্জা সব কিছুকেই এক সাথে করে গোল গোল চোখে আমায় জিজ্ঞাস করলো,
-আপনি আমার নাম জানলেন কিভাবে?
আমিও গোলগোল চোখে বললাম,
-না মানে, আপনার বইয়ের উপর তানিয়া নামটা দেখে ।

"যত্তো সব পাগল"
এই বলে ও আমাকে পাশ কাটিয়ে চলে গেল ।
আর আমি আনন্দ ভরা চোখে পৃথিবীর শ্রেষ্ট সুখি মানুষটির মতো দাড়িয়ে থেকে ওর চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম ।

srabon204