-এই বৃষ্টি দাঁড়া
-কি হইছে কিছু বলবি?
-এই নে
-এটা কি?
-চিঠি
-কিসের চিঠি?
-এই যুগে মানুষ কিরকম চিঠি দিতে পারে। আরে প্রেমপএ!
-কি !!
-হুম। এটা পাশের ডিপার্টমেন্টের স্নিগ্ধার কাছে দিয়া দিবি
-ধুর তোর টা তুই দিবি। আমার টানোস কেন?
-আরে দোস্ত চেতোস কেন? তুই না আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড।ফ্রেন্ডরা তো ফ্রেন্ডসদেরই সাহায্য করে।আর তুই তো জানোস আমি এই ব্যাপারে কিরকম ভীতু
-আচ্ছা ঠিক আছে দিমুনে। কোথায় পাবো ওরে?
-ওকে বলছি বটতলার নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে।
-আচ্ছা ঠিক আছে দিয়া দিবো আর কিছু বলতে হবে?
-না তুই খালি চিঠি টা দিস।খবরদার ভুলেও এঅটা খুলবি না।
-আচ্ছা ঠিক আছে। গেলাম।
বৃষ্টির মনটা এখন আর ভালো নেই।যেই মানুষকে সেই ছোটবেলা থেকে ভালবেসে এসেছে তার জন্য আজ প্রেমের প্রস্তাব দিতে হবে।বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যাবে এই ভয়ে কখনো বলা হয়নি কতোটা ভালবাসি আকাশকে। হয়তো আর বলাও হবে না।এইকথা ভাবতে ভাবতে কখন যে চোঁখে পানি চলে এসেছে বুঝতেই পারেনি।এইরকম নীরবে কান্না খুব খারাপ,বোকারা শুধু নীরবে কাঁদে।
২ ঘন্টা ৪৫মিনিট হয়ে গেছে। তবুও কোন স্নিগ্ধার খোঁজ নাই।চিঠিটা কি খুলে দেখবে কি বৃষ্টি? না নাহ্ অন্যের ঠিঠি এরকম পড়া ঠিক না। থাক অপেক্ষাই করা যাক। ৩.১৫ না এবার চিঠিটা পড়া উচিত। আস্তে আস্তে চিঠিটা খুললো বৃষ্টি। চিঠি পড়ে তো তার চোখ ছানাবড়া। চিঠিতে শুধু চারটা শব্দ, "I love you bristi"। সবকিছু কেমন যেন অদ্ভুত লাগছে।এ অদ্ভুত এক অনুভূতি।প্রেম ভালবাসা ভয় আনন্দ সবকিছু একসাথে কাজ করছে। এটা কি স্বপ্ন দেখছে নাকি বাস্তব? এটা জানা দরকার। ফোনটা ব্যাগ থেকে বের করল বৃষ্টি। বোকা ছেলেটাকে ফোন দেয়া উচিত।
-কিরে অবাক হচ্ছিস?
পেছন থেকে আস্তে করে বলল আকাশ
-না মানে কি বলবো?তুই কি করে জানলি?
-দুদিন আগে তোর বাসায় নোট আনতে গিয়েছিলাম।আপনার ডায়রী চোখের সামনে এসে পড়ে।ডায়রী পড়ে তোর প্রতি রাগই হলো।
-কেন?
-ভালবাসিস এতোদিন বললিনা কেন?
-যদি তোকে হারিয়ে ফেলি?
-নতুন কোন আকাশ পেলে?
দুজনেই চুপ। কেউ কথা বলছে না। ভালবাসার এক অদ্ভুত গুন হচ্ছে নিঃশব্দে এটি প্রকাশ করা যায়।
-কিছু বল?
-কি বলবো?
-আমার চিঠির উওর দে
-I love you too
পরিশেষঃ আজ আকাশ বৃষ্টির বিয়ের ৩ বছর ৪ মাস পূর্ন হলো। ওদের কোলে একটা ছোট্ট ফুটফুটে পরী আসলো। তিনজন মিলে আসলে খুব ভালোই আছে
by srabon
-কি হইছে কিছু বলবি?
-এই নে
-এটা কি?
-চিঠি
-কিসের চিঠি?
-এই যুগে মানুষ কিরকম চিঠি দিতে পারে। আরে প্রেমপএ!
-কি !!
-হুম। এটা পাশের ডিপার্টমেন্টের স্নিগ্ধার কাছে দিয়া দিবি
-ধুর তোর টা তুই দিবি। আমার টানোস কেন?
-আরে দোস্ত চেতোস কেন? তুই না আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড।ফ্রেন্ডরা তো ফ্রেন্ডসদেরই সাহায্য করে।আর তুই তো জানোস আমি এই ব্যাপারে কিরকম ভীতু
-আচ্ছা ঠিক আছে দিমুনে। কোথায় পাবো ওরে?
-ওকে বলছি বটতলার নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে।
-আচ্ছা ঠিক আছে দিয়া দিবো আর কিছু বলতে হবে?
-না তুই খালি চিঠি টা দিস।খবরদার ভুলেও এঅটা খুলবি না।
-আচ্ছা ঠিক আছে। গেলাম।
বৃষ্টির মনটা এখন আর ভালো নেই।যেই মানুষকে সেই ছোটবেলা থেকে ভালবেসে এসেছে তার জন্য আজ প্রেমের প্রস্তাব দিতে হবে।বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যাবে এই ভয়ে কখনো বলা হয়নি কতোটা ভালবাসি আকাশকে। হয়তো আর বলাও হবে না।এইকথা ভাবতে ভাবতে কখন যে চোঁখে পানি চলে এসেছে বুঝতেই পারেনি।এইরকম নীরবে কান্না খুব খারাপ,বোকারা শুধু নীরবে কাঁদে।
২ ঘন্টা ৪৫মিনিট হয়ে গেছে। তবুও কোন স্নিগ্ধার খোঁজ নাই।চিঠিটা কি খুলে দেখবে কি বৃষ্টি? না নাহ্ অন্যের ঠিঠি এরকম পড়া ঠিক না। থাক অপেক্ষাই করা যাক। ৩.১৫ না এবার চিঠিটা পড়া উচিত। আস্তে আস্তে চিঠিটা খুললো বৃষ্টি। চিঠি পড়ে তো তার চোখ ছানাবড়া। চিঠিতে শুধু চারটা শব্দ, "I love you bristi"। সবকিছু কেমন যেন অদ্ভুত লাগছে।এ অদ্ভুত এক অনুভূতি।প্রেম ভালবাসা ভয় আনন্দ সবকিছু একসাথে কাজ করছে। এটা কি স্বপ্ন দেখছে নাকি বাস্তব? এটা জানা দরকার। ফোনটা ব্যাগ থেকে বের করল বৃষ্টি। বোকা ছেলেটাকে ফোন দেয়া উচিত।
-কিরে অবাক হচ্ছিস?
পেছন থেকে আস্তে করে বলল আকাশ
-না মানে কি বলবো?তুই কি করে জানলি?
-দুদিন আগে তোর বাসায় নোট আনতে গিয়েছিলাম।আপনার ডায়রী চোখের সামনে এসে পড়ে।ডায়রী পড়ে তোর প্রতি রাগই হলো।
-কেন?
-ভালবাসিস এতোদিন বললিনা কেন?
-যদি তোকে হারিয়ে ফেলি?
-নতুন কোন আকাশ পেলে?
দুজনেই চুপ। কেউ কথা বলছে না। ভালবাসার এক অদ্ভুত গুন হচ্ছে নিঃশব্দে এটি প্রকাশ করা যায়।
-কিছু বল?
-কি বলবো?
-আমার চিঠির উওর দে
-I love you too
পরিশেষঃ আজ আকাশ বৃষ্টির বিয়ের ৩ বছর ৪ মাস পূর্ন হলো। ওদের কোলে একটা ছোট্ট ফুটফুটে পরী আসলো। তিনজন মিলে আসলে খুব ভালোই আছে
by srabon
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন